জানা অজানা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
জানা অজানা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, ২১ জুলাই, ২০১৪

হন্ডুরাসের মাছ বৃষ্টি

হন্ডুরাসের মাছ বৃষ্টি

 

ন্ডুরাসের লোকাচার বিদ্যায় মাছ বৃষ্টি একটি সাধারণ ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, এ অবিশ্বাস্য প্রাকৃতিক ঘটনা ঘটে মে থেকে জুলাই মাসের মাঝামাঝি। প্রথমে আকাশে কালো করে মেঘ জমে। এরপর শুরু হয় তুমুল বৃষ্টি, সে সঙ্গে প্রবল বাতাস, বিদ্যুৎ চমক আর বজ্রপাত। এ রকম চলে প্রায় ২-৩ ঘণ্টা। বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর শত শত জীবন্ত মাছ পড়ে থাকতে দেখা যায় মাটির ওপরে। লোকজন এসব মাছ কুড়িয়ে নিয়ে রান্না করে খায়। ১৯৯৮ সাল থেকে স্থানীয় লোকজন এ প্রাকৃতিক ঘটনার ওপর ভিত্তি করে প্রতি বছর উৎসবের আয়োজন করে।

ফ্রান্সের প্রকৃতিবিজ্ঞানী এন্দ্রে মেরি এমপেরের মতে, আটলান্টিক মহাসাগরে সংঘটিত টর্নেডো উঠিয়ে নিয়ে আসে এই মাছগুলো এবং ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হন্ডুরাসের ইউরো শহরে ফেলে। তবে প্রতি বছর একই সময় টর্নেডো আটলান্টিক মহাসাগর থেকে মাছ উঠিয়ে এনে ইউরোতেই ফেলবে-এ ধরনের কাকতালীয় ঘটনা অনেকের মতে অসম্ভব। অনেকের মতে এ মাছগুলো স্বাদু পানির এবং সাঁতরে কাছের নদী কিংবা জলাশয় থেকে ভূগর্ভস্থ জলাধারে আশ্রয় নেয়। ভারী বৃষ্টিতে মাটি ধুয়ে গেলে মাছগুলো উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। অনেকের মতে, ১৮৫৬-১৮৬৪ সালে হন্ডুরাসে আসা এক সাধুর কারণে এ মাছ বৃষ্টি হয়। কথিত আছে, অনেক অভাবী লোক দেখে সেই সাধু তিন দিন, তিন রাত সৃষ্টিকর্তার কাছে অভাবীদের খাবারের চাহিদা মেটানোর মতো কোনো অলৌকিক ঘটনার জন্য প্রার্থনা করেছিলেন। সেই অলৌকিক ঘটনাই হচ্ছে এই মাছ বৃষ্টি বলে তাদের বিশ্বাস।

শনিবার, ১২ জুলাই, ২০১৪

DEAD SEA/মৃত সাগর/লুত সাগর/লবণ হৃদ-এর রহস্যময় কাহিনী।

DEAD SEA/মৃত সাগর/লুত সাগর/লবণ হৃদ-এর রহস্যময় কাহিনী।




আপনারা জানেন কি, DEAD SEA/মৃত সাগর/লুত সাগর/লবণ হৃদ- এর রহস্যময় কাহিনী।


সেটা অনেকদিন আগের কথা। বর্তমান ইরাকের এক বিশাল রাজ্য ছিল ব্যবিলন। আর এ শব্দটির শাব্দিক অর্থ হচ্ছে দেবতার নগরী। এ রাজ্যের রাজা ছিলেন সারগন। সে খুব আত্মগর্বী, মতাদর্পী ছিল। সে আল্লাহকে ভুলে নিজেকে খোদা হিসেবে ঘোষণা দিল। আর তার রাজ্যের প্রজারা সারগণের মূর্তি বানিয়ে তার পূজা করতে লাগল। এই সময়েই এক ঘরে জন্মগ্রহণ করেন হযরত ইব্রাহীম (আঃ)। বড় হয়ে তিনি এই রাজ্যের প্রত্যেককে এই জঘন্যতম কাজ থেকে বিরত থাকতে বললেন। এমনকি রাজা সারগনকেও তিনি বুঝাতে লাগলেন। কিন্তু রাজা এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে ইব্রাহীম (আঃ) কে আগুনে ফেলার নির্দেশ দেয়। আর ইব্রাহীমকে আগুনে ফেলার সাথে সাথে আল্লাহুর হুকুমে আগুন নাতিশীতোঞ্চ হয়ে যায়। আর এ বিষ্ময়কর দৃশ্য দেখে তাঁর বয়সী কয়েকজন তরুণ তাঁর অনুসারী হয়ে যায়। এতে রাজা আরও ক্ষুদ্ধ হয়ে তাঁর অনুসারীসহ ইব্রাহীম (আঃ) কে বেঁধে রাখে উত্তপ্ত মরুভূমিতে। কিন্তু আল্লাহ এবারও তাদের মাথার উপর একখন্ড মেঘ দাঁড় করে দেন। আর তাদের সামনের বালুকণাগুলোকে ক্ষুধার অন্নে পরিণত করে দেন। এ দৃশ্য দেখে রাজা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে তাদেরকে রাজ্য থেকে বের করে দেয়। তারপর ইব্রাহীম (আঃ) ও তাঁর অনুসারীরা এ রাজ্য ত্যাগ করে ফিনিশিয়া রাজ্যে আগমন করে।

সেখানে ‘সারা’ নামের রাজকন্যা তাঁর রূপে মুগ্ধ হয়ে তাঁকে বিবাহ করে। আর এতে রাজা ক্ষুদ্ধ হয়ে মেয়েসহ ইব্রাহীম (আঃ) কে রাজ্য থেকে বের করে দেন। ইব্রাহীম (আঃ) সবাইকে নিয়ে জর্ডান নদীর পশ্চিম পাড়ে ‘হেবরন’ নামের এক ক্ষুদ্র পল্লীতে বসতি স্থাপন করেন। হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর অনুসারীদের মধ্যে তাঁর চাচাতো ভাইয়ের ছেলে লুত (আঃ) ছিলেন। বলাবাহুল্য জর্ডান নদীর পূর্বদিকে বর্তমান যেখানে মৃত সাগর অবস্থিত সেখানে বেশ দূরে দূরে অবস্থিত ছিল পাঁচটি সু-সমৃদ্ধ জনপদ। তারা হচ্ছে- আমোরা, আদমাহ, সেবাইম, সো-আর এবং সাদুম। এই সাদুম জনপদটি ছিল সবার দক্ষিণে। ইব্রাহীম (আঃ) লুত (আঃ) কে এই সাদুম জনপদে পাঠালেন। কেননা এই জনপদের অধিবাসীরা সীমালঙ্ঘন, নির্যাতন এমনকি বিভিন্ন জঘন্য পাপাচারে লিপ্ত থাকতো। তাই তাদেরকে ন্যায় পথে ফিরিয়ে আনবার জন্য ইব্রাহীম (আঃ) এর নির্দেশে তিনি এই দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি সাদুমবাসীকে পাপের শাস্তি ও পূণ্যের পুরস্কার সম্পর্কে বিভিন্নভাবে বুঝাতে লাগলেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা। তারা উল্টো লুত (আঃ) কে অপমান ও উপহাস করতে লাগলো। এমনকি দৈহিক নির্যাতন চালাতে লাগলো। এতকিছু সহ্য করেও তিনি আল্লাহর রাস্তায় অটল। আর এদিকে তারা আইন করলো বাড়িতে অতিথি আপ্যায়ন নিষেধ। হযরত লুত (আঃ) যেহেতু একজন নবী সেহেতু তাঁর কাছে অতিথি আসাটাই স্বাভাবিক। তাই কোন অতিথি আসলে অতি গোপনে তাঁর সাথে সাক্ষাত করতো। কিন্তু গোপনে সাক্ষাত করতে আসলেও তারা ধরা পড়ে যেতো। কারণ লুত (আঃ) এর স্ত্রী লুকিয়ে লুকিয়ে প্রতিবেশীদের কানে পৌঁছিয়ে দিত। লুত (আঃ) প্রথমে বুঝতে না পারলেও পরে ঠিকই স্ত্রীর চালাকি বুঝতে পেরেছেন।

তাই তিনি স্ত্রীকে বাইরে যেতে নিষেধ করেন। কিন্তু নিষেধ করলে কি হবে? তাঁর স্ত্রী ছলাকলায় কম নন। সে লবন নেই বলে প্রায় সময় লবণ ধার আনার কথা বলে লুত (আঃ) কে ফাঁকি দিয়ে প্রতিবেশীকে খবর পৌঁছিয়ে দিত। আর খবর পেয়ে তারা অতিথিদের উপর চড়াও হত আর তাদের উপর দৈহিক নির্যাতন চালাতো। আল্লাহ তা’আলা এতে নারাজ হয়ে গেলেন। তাই তিনি কয়েকজন ফেরেশতাকে পাঠালেন। যারা পরমা সুন্দরী তরুনীর বেশে সাদুমে আসলো। তারা যথাসময়ে লুত (আঃ) এর কাছে আগমন করে সব ঘটনা খুলে বলে। আর এদিকে লুত (আঃ)এর স্ত্রী সারা যথারীতি লবণ ধার এর কথা বলে পাশের প্রতিবেশীদেরকে গোপনে খবর দিল। খবর শুনে তারা ছুটে এসে লুত (আঃ) কে বললো অতিথিদেরকে তাদের হাতে তুলে দিতে। কিন্তু এতে তিনি বাধা দিলেও প্রতিবেশী যুবকরা পরমী সুন্দরীদের মোহে মুগ্ধ হয়ে তাঁদের উপর চড়াও হলো। আর তখনই ফেরেশতাগণ তাঁদের আসল রূপ ধারণ করলো। আর দেখতে দেখতে পাঁচটি নগরীকে তুলো

ধোলাই করার মতো মর্ত্য পাতাল এক করতে লাগলেন। এর পূর্বে ফেরেশতাগণ লুত (আঃ) ও তাঁর অনুসারীদেরকে সাদুম নগরী পরিত্যাগ করতে বললেন। আর সাবধান করে দিয়েছিল কেউ যেন পিছন ফিরে না তাকায়। তারপর পাঁচ নগরী বিশিষ্ট বিশাল অঞ্চলটা একটা বিশাল হৃদে পরিণত হলো। একই সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি ধারার মতো আকাশ থেকে পাথর বর্ষণ করলেন আল্লাহ তা’আলা। দেখতে দেখতে সেই বিশাল হৃদটি পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে উঠলো। আল্লাহর হুকুমে লুত (আঃ) ও তাঁর অনুসারীরা বেঁচে গেলেও লুত (আঃ) এর স্ত্রী কি রা পেয়েছিল? না, সর্বশক্তিমান আল্লাহ তা’আলা তাকে বিরাট একটা লবণের স্তুপে পরিণত করলেন এবং তাকে আবহমানকালের মতো সেই হৃদের মাঝখানে রেখেছিলেন। আর সেই কারণেই এই হৃদের পানি এত লোনা যে, তা সাগরের লবনাক্ত পানিকেও হার মানায়।

বিজ্ঞানীদের মতে, এই হৃদের লবণের অস্তিত্ব শতকরা চল্লিশ ভাগ। আর এইসব কারণে এই হৃদকে মরু সাগর, মৃত সাগর, লুত সাগর বা লবণ হৃদ, DEAD SEA ইত্যাদি নামে নামকরণ করা হয়েছে। এখানে একটা মজার ব্যাপার হল, এই হৃদের উপর দিয়ে কোন পাখি যাওয়া আসা করে না। কারণ এই হৃদের জঘন্য লোনা পানিতে মাছের বংশ তো দূরের কথা একটা পোকামাকড়ও জন্মাতে পারে না। আর তাই মাছ, পোকামাকড় না থাকলে কি পাখি আসতে পারে। আর একটা মজার ব্যাপার হল, এই পানিতে দিব্যি শুয়ে বসে থাকা যায়। ডুবে যাওয়ার কোন আশংকাই নেই। আর তা সম্ভব পানির ঘনত্বের কারণে। এই হৃদটি এত বিশাল যে এটা উত্তর দক্ষিণে ১০৬ কিঃমিঃ লম্বা আর পূর্ব পশ্চিমে ১৫ কিঃমিঃ এর মতো। অধিকাংশ স্থানে এর গভীরতা প্রায় ১৭০০ ফুটের মতো। এই লবণ হৃদ বা DEAD SEA সম্পর্কে হয়তো আমরা অনেকেই জানি না। তাই আসুন আমরা বেশি বেশি করে আল্লাহর এইসব অলৌকিক ঘটনাবলী সম্পর্কে জেনে নিই।
মুভির সুপারহিরোদের ব্যবহৃত সেরা ১০ টি অস্ত্র

মুভির সুপারহিরোদের ব্যবহৃত সেরা ১০ টি অস্ত্র


হলিউডি মুভির সুপার হিরোদের আমরা সবাই কমবেশি পছন্দ করি। কিন্তু তাদের ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো নিয়ে কি কখনো ভেবেছি?? বা সেগুলো কি কখনো একত্র করেছি। আসুন দেখি সেগুলো আলাদা ভাবে কেমন দেখায়।

১০) Daredevil এর billy club




মারভেল এর কমিকস ডেয়ারডেভিল থেকে মুল গল্পনেয়া। নায়ক একটা গুর্ঘটনায় তার চোখ হারায় কিন্তু চোখ হারানোর সাথে সাথে তার অন্যান্য ইন্দ্রিয় যেমন গন্ধ, শব্দ এবং অনুভুতি প্রবল ভাবে বৃদ্ধি পায়। এবং এগুলো দ্বারাই সে খারাপের সাথে যুদ্ধ করে। তার ব্যবহৃত অস্ত্রটা আধুনিক বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের পুলিশের হাতে দেখা যায়। এছারা এর ভাল ব্যবহার দেখা যায় মার্শাল আর্টে। দুটি লাঠির দু প্রান্তে শক্ত রশি দ্বারা বাধা থাকে। প্রয়োজনে লাঠিট দুটি একসাথে জোরালাগানো যায় আবার খোলা যায়।

তবে এটা ব্যবহার করার পদ্ধতিটা পুরাটাই মার্শাল আর্ট জানার উপর নির্ভর করবে। বেশকিছু চমৎকার একশন আছে মুভিটাতে। আপনিও ব্যবহার করতে পারেন এটি। তবে সাবধান কন্ট্রোল করতে নাপারলে সবার আগে দেখবেন নিজের মাথা দুইভাগ করে ফেলসেন।

০৯) Dredd এর Lawgiver

ড্রেড এর প্রথম মুভিটা আসে মুলত ১৯৯৫ সালে Sylvester Stallone এর অভিনিত। দুটি মুভিতেই একই অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। অস্ত্রটি কিছুটা ইজরাইলি ইউজি এর মত। তবে এতে প্রচুর ফ্যাসিলিটি আছে। একইসাথে বিভিন্ন মুডে ফায়ার করাযায়। এটি ইউজারের ভয়েস কমান্ড ফলো করে। ইউজার যদি হট শট বলে তবে তা হট শটে যাবে আবার ইউজার যদি হাইএক্সপ্লোসিভ বলে তবে তা গুলির বদলে হাই এক্সপ্লোসিভ ফায়ার করবে। পুরো মুভিতে এই একটি অস্ত্র দিয়ে ড্রেডকে যুদ্ধ করতে দেখা গেছে।

এটি সাইজে বেশ ছোট এবং এর ওজন অনেক কম। এছারা টার্গেট লক করা এবং নিশানা ঠিকরাখাও বেশ সুবিধাজনক। যেটা বর্তমানের আগ্নেয়াস্ত্রগুলোতে সম্ভব নয়। এছারা এটি ইউজার আইডি সেভ করতে পারে। মানে সঠিক ইউজার ছারা অন্য কেউ এটি ব্যবহার করতে চেস্টা করলে সেটি নিজে নিজে অন্য ইউজার এর হতে ব্যাক ফায়ার করবে।

০৮) Ghost Rider এর Hellfire chain




চেইনও যে একটা অস্ত্র হইতে পারে তা এই মুভিটা দেখে বুঝছি। মুলত গোস্টরাইডার যখন শয়তানের সাথে চুক্তির ফলে অভিশপ্ত হয়ে পরে তখন তার বাহন বাইকটা এবং চেইনটা এর সাথে অভিশপ্ত হয়ে যায়। ফলে এই চেইনটা সে তার একটা প্রধান অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে।

চেইনটার বিশেষত্ব হল এটি তার ইউজারের শরিরের আগুন নিজের শরিরে ট্রান্সফার করে রক্তবর্ন ধারন করে। এটি দ্বারা আঘাত করলে আগুন আঘাতকারির শরিরে ছরিয়ে পরবে। এছারা এটি ইউজারের ইচ্ছে মত মুভ করে। এটি আগুন, পানি এবং বাতাস এর যেকোন কিছু ধংশ করা যায়। মুভিতে এর আরো কিছু বহুমুখি ব্যবহার দেখতে পাওয়ার যায়।

০৭) Captain America: The First Avenger  এর shield




মুভিটা মুলত মার্ভেল এর Captain America কমিকস থেকে নেয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এক বিজ্ঞানি খুব দুর্বল আর চিকন চাকন কিন্তু ভাল মনের এক সৈন্যের উপর বিশেষ এক পরিক্ষা চালান যাতে সে শক্তিশালি এবং বিশেষ কিছু ক্ষমতার অধিকারি হয়। কিন্তু পরিক্ষার পর মুহুর্তে তিনি আসাসিনেশনে নিহত হন। কিন্তু তার সেই সৃস্টি থেকে যায়। সেই হয় ক্যাপ্টেন আমেরিকা। এক সময় তার জন্য আয়রন ম্যান টনি স্টার্ক এর পিতা এইব স্টার্ক একটি বিশেষ ধরনে হস্ত বর্ম নির্মান করেন। যার নাম দেয়া হয় শিল্ড।

এটি বুলেট,বোমা সহ দুনিয়ার তাবত অস্ত্রের আঘাত আনায়সে ফিরিয়ে দিতে পারে। এছারা এটি ছুরে দিলে তা আবার ইউজারের কাছে ফিরে আসে। এটা দ্বারা বেশ কিছু ভাংচুরও করেছেন আমাদের ক্যাপ্টেন আমেরিকা সাহেব। তবে কমিকস গুলোতে এই শিল্ডএর আরো চমৎকার কিছু ব্যবহার দেখানো হয়েছে।


০৬) Batman এর Batarang



ওয়ার্নার ব্রুস এর ডিসি কমিকস ব্যাটম্যান থেকে মুলত মুভিটি বানানো হয়েছে। ধনির দুলাল তার সকল সম্পদ ব্যায় করে পিঠে কাপর বাইন্ধা ভয়ানক সব ভিলেনের বিরুদ্ধে নাইমা পরে। বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রসস্ত্র ব্যবহার করে। তবে মুল একটা অস্ত্র হইতেছে এই ব্যাটরেঙ।

দেখনে বাদুর এর পাখনার মত। এর বিশেষত্ব হইতেছে এর চারপাশ গুলো প্রচন্ড ধার থাকে এবং ছুরে মারলে যে কোন স্থানে বসে যায়। ব্যাটম্যান তার প্রত্যেকটা মিশন শেষে এই জিনিষটা রেখে যেত। এছারা লাস্ট মুভিতে একসাথে ৪ -৫ জনকে টার্গেট করেও এটা ছুরতে দেখা গেছে।

০৫) The Amazing Spider-Man এর Web-Shooters


মুলত মার্ভেল এর কমিক স্পাইডারম্যান থেকে নেয়া। প্রথম মুভিগুলোতে স্পাইডারম্যান এর হাতের মাকরসার জালগুলো আনায়সেই চলে আসত। কিন্তু নতুন মুভিতে দেখলাম একটা যন্ত্র ব্যবহার করতে। নাম দিয়েছে ওয়েবশুটার।

যন্ত্রটা স্পাইডারম্যান নিজেই ডিজাইন করেন। কাজ একই। খুব শক্ত মাকরসার জাল বোনা। তার স্যুটের সাথে এটাচ করা থাকে। আামার কাছে এইটা বিরক্ত লাগছে। স্পাইডারম্যানে জাল যদি যন্ত্রদিয়া বাইর করতে হয় তাই আর লাভ কি??

০৪) Green Lantern এর Power ring



মুল কাহিনি নেয়া হয়েছে ডিসি কমিকস এর ক্যরেক্টের গ্রিনল্যান্ট্রান থেকে। মহাবিশ্বের সিকিউরিটির দায়িত্বে নিয়জিত সৈন্যদের মধ্যে একজন হাল জর্দান পৃথীবিতে ক্রাশ ল্যান্ড করে এবং মারা যাবার আগে তার রিং এই ভদ্রলোকরে দিয়া যায়। তো তার পর তিনি এই রিং এর মালিক এবং এর ক্ষেমতা দেখানো শুরু করেন।

রিং এর বৈশিষ্ট হল এটি যার আগুলে থাকবে তার শারিরে অটো একটা স্যুট এডজস্ট হয়ে যাবে। মনে যা আসে তাই হাতে বানিয়ে দিবে এই রিং। যুদ্ধের সময় এটা খুব কাজে লাগে। যেমন ওপাশ থেকে গুলি হচ্ছে ঠেকানোর জন্য চিন্তা করলে বুলেট প্রুফ শিল্ড………হয়ে গেল শিল্ড। আবার অস্ত্রদর খালি ভাবলেই হবে চলে আসবে হাতের কাছে অস্ত্র। ছোট হাতের একটা ঘুষিকে ১০০ গুন বর করে মারবে। তবে এর আবার একটা সমস্যা আছে।

এটা আপনার মোবাইলের ব্যাটারির মত। মানে চার্জ শেষ হইলে তার ল্যন্টার্ন দিয়া আবার রিচার্জ করতে হবে। নাইলে কাম করবে না। কি জ্বালা কনছেন দেহি। মারামারির সময় চার্জ ফুরাইয়া গেলে বেচারা তখন কই যাইব??

০৩) Thor এর Hammer



নর্স মিথোলজির বজ্রের দেবতা হচ্ছে থর। মার্ভেল কমিকস তাকে নিয়ে প্রথম কমিকস ছারে বাজারে। বর্তমান মুভিগুলো করা হচ্ছে মার্ভেল এর কমিকস থেকে। দেবতা ওডিন এর মেজ ছেলে থর। তার একমাত্র শক্তি হচ্ছে তার হাতুরি। এটা একটা তারার হার্ট দিয়ে তৈরি।

এর বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট আছে। এটি থর হাতে থাকা অবস্থায় যেকোন সময় ( খটখটা রোদ্রের মধ্যেও) থাডা (বজ্রপাত) ফালাইতে পারে। এটা দিয়া মাটিতে শক্তকইরা একটা বাড়িদিলে মাটি ফাইটা ভুমিকম্প শুরু হয়। যেকোন জিনিষের উপর একটার উপর দুইটা বাড়ি দেওয়া লাগে না। এছারা এইটা হেলিকাপ্টার এর কাজ করে।:D:D আামাদের থর বাবাজি ছারা এইটা কেও মাটিথেকে এক ইঞ্চিও নারাইতে পারব না। হাল্ক এর মত দানব এক বারিমাইরা কাইত কইরা ফেলাযায় এইটা দিয়া। এছারা এইটা ছুইরা মারলে সব মাইরা আবার থরের হাতে ফিরত আসে। থরের হাত ছারা আবার এইটা পুরা অচল।


০২) Wolverine এর Built in Sword



আর একটা মার্ভেল কমিকস এর ক্যারেক্টর। এক্সম্যান মুভিতে প্রথম দেখা যায়। আলাদা ভাবে এখন পর্যন্ত দুটি মুভি বাজারে এসছে ওলভওরিনকে নিয়ে। মুলত যুগযুগ ধরে বেচে থাকা এই মানুষটি নিজেই কনফিউজ তার পরিচয় নিয়ে। হিংস্র স্বভাব এবং শিয়ালের বৈশিষ্ট তাকে এই নামদিয়েছে। তার অনেক ক্ষমতার একটা গুরুত্বপুর্ন হচ্ছে তার হাতের চার আঙুলের মাঝখানে থাকা তিনটি ছুরি যা তার ইচ্ছামত বাইরে বের হয়ে আসে। প্রথম পর্বে দেখানো হয়েছে তার শরিরে গলিত adamantium সিরিঞ্জের মাধ্যমে প্রবেশ করানো হয় ফলে তার এই ছুরি গুলোতে এই ধাতুর একটা প্রলেপ পরে এবং তা প্রচন্ড শক্তিশালি হয়ে উঠে।

এর প্রধান বৈশিষ্টহচ্ছে এটি যে কোনকিছু কেটে ফেলতে সক্ষম। তা লোহা হোক বা স্টিল হোক অথবা কংক্রিট এর দালান হোক। যেকোন সময় এটি বের হয়ে আসে তবে তা ওলভওরিনের ইচ্ছার উপর। ঘুষিমারার পর এটি সবচেয়ে বেশি কাজে লাগে। যে কোনকিছু ধরে রাখতে সাহায্যকরে। তবে এটি ম্যাগনিটোর সামনে অচল।

০১) Iron Man এর Suit



মার্ভেল কমিকস আয়রনম্যনের চরিত্রটি মুভিতে নিয়ে আসা হয়েছে। রবার্ট ডাওনি জুনিয়র ফাটাইয়া ফেলছেন। মুলত এক অস্ত্রব্যাবসায়ির খুব ব্রিলিয়্যান্ট ছেলে আফগানিস্তানে মারাত্তক যখম হয়ে তালেবানদের হাতে বন্দি হয়। পরে সে সেখান থেকে পালাবার জন্য তার বুকে ব্যবহ্রত কোর ফিউশনটিকে পাওয়ার সোর্স হিসাবে ব্যবহার করে একটি শারিরিক বর্ম তৈরি করে যা উরতে এবং যুদ্ধ করতে পারে। পরে সে তার সকল সম্পদ এবং জ্ঞান এই বর্মের উন্নয়ন এবং আধুনিকায়নের পিছনে খরচ করেন।

এ স্যুট কি করতে পারে তা বর্ননা করতে গেলে পোস্ট আর শেষ হবে না। এটি একই সাথে একটা ফাইটার প্লেন যেটা যে কোন সময় যেকোন স্থান থেকে টেকঅফ এবং ল্যান্ড করতে পারে, একটা অস্ত্রের গুদাম, আর একটা সৈন্য। এর শরিরের মোটামোটু সব জায়গাতেই রয়েছে অস্ত্র। এটি মানুষ সহ বা ছারা উরতে পারে। রয়েছে একটি এ,আই (জার্ভিস)যেটি বাহকের ভয়েস ট্রাক করতে পারে।


এটি মানব শরিরে লোড আনলোড করতে খুব কমসময় লাগে। এবং একবারে কোনরকম ঝামেলা মুক্ত।

শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০১৪

ইতিহাসের ভয়ংকর জাতি

ইতিহাসের ভয়ংকর জাতি


এই পৃথিবীতে স্তন্যপায়ি প্রানিদের মধ্যে মানুষ তার প্রভাব বিস্তার করেছে সব থেকে বেশি। পৃথিবীর এই বুকে মানুষের পদচারনার এই দীর্ঘ পথ চলায় মানুষ তৈরি করেছে সমাজ আর এই সমাজ থেকে গড়ে উঠেছিল বিভিন্ন জাতি। আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিব ইতিহাসের ১০টি ভয়ংকর জাতির সাথে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক 

 "ইতিহাসের ভয়ংকর জাতি" 


০৫) নাৎসিঃ

নাৎসি (Nazi) বাহিনীকে কেউ চিনে না, কিন্তু ২য় বিশ্ব যুদ্ধ সম্পর্কে জানে এমন কেউ আছে বলে মনে হয় না। এই নাৎসি বাহিনীকে তৎকালীন আমলে বলা হত "তৃতীয় সম্রাজ্য"। এই নাৎসি বাহিনী বা সম্রাজ্যের একছত্র নায়ক ছিলেন এডলফ হিটলার। তিনি এই নাৎসি বাহিনীর সহযোগিতায় জার্মানির গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র ব্যাবস্থাকে ভেংগে গড়ে তোলেন এক সর্বোগ্রাসী রাষ্ট্রে। মজার বিষয় হচ্ছে এডলফ হিটলারের উতখান কিন্তু হয়ছিল গনতন্ত্রের মধ্য দিয়ে। তিনি তৎকালীন নাৎসি সম্রাজ্যের পূর্বের জার্মানিতে "National Socialist German Workers Party" (NSDAP) এর রাজনীতিতে ছিলেন। এই নাৎসি সম্রাজ্য ছিল অনেক বিশাল আর অনেক বেশি ক্ষমতাশীল। এত বেশি ক্ষমতার অধিকারি ছিলেন যে এক সময় তারা সারা বিশ্বকে শাষন করার স্বপ্ন দেখা শুরু করে। আর হিটলারের এই উচ্চাকাঙ্ক্ষার ফলাফল স্বরূপ বিশ্বকে উপহার দেয় ইতিহাসের সব থেকে ভয়াবহ ২য় বিশ্ব যুদ্ধ। এই যুদ্ধে হিটলার ১৯৪৫ সালের মে মাসে মিত্র বাহিনীর কাছে পরাজিত হন আর নিজের বাঙ্কারে আত্মহত্যার মাধ্যমে মৃত্যুবরন করেন। হিটলারের জীবনের শেষ দিন গুলি মোটেও সুখের ছিল না। এ নিয়ে "হিটলারের শেষ দিন" লেখায় আলোচনা করা হয়েছিল। নাৎসি বাহিনীর গনহত্যায় প্রায় ৪ মিলিয়ন লোক প্রান হারায়। সম্ভবত নাৎসি বাহিনীর চিহ্ন (卐) বিশ্বের সব থেকে ঘৃণিত চিহ্ন। এই সম্রাজ্যের বিস্তার ঘটেছিল প্রায় ২৬৮,৮২৯ স্কয়ার মাইল জুড়ে। যদিও হিটলার ২য় বিশ্ব যুদ্ধ এবং ইতিহাসের সব থেকে বড় গন হত্যার জন্য দায়ি, তারপরেও হিটলারের একটি গুনের কথা কেউ অস্বীকার করে না। আর তা হল, তার বক্তব্য দেবার ক্ষমতা। তার বক্তব্যের মাধ্যমে খুব সহজেই মানুষের মন ছুয়ে যেতেন আর তাদের অনেকটাই রাজি করিয়ে ফেলতেন তার নিজের কথা মত চলতে।

০৪) মঙ্গোলঃ

মঙ্গোল (The Mongols) সম্রাজ্য টিকে ছিলে ১৩শ এবং ১৪শ শতক জুড়ে। মানুষের ইতিহাসে এদের সম্রাজ্য ছিল সব ২য় বৃহত্তম সম্রাজ্য। এই মঙ্গোল সম্রাজ্য গড়ে ওঠে মঙ্গোল এবং তুর্কিদের এক করে। যদিও এই মিত্র বাহিনী পরিচালিত হত মঙ্গোলদের দ্বারাই। আর এই মঙ্গোল সম্রাজের সম্রাট ছিলেন চেঙ্গিস খান।
তৎকালীন সময়ে এই মঙ্গোল বাহিনী ছিল সব থেকে ভয়ংকর। এদের ভয় পেত না এমন কোন জাতী গোষ্টি ছিল না তৎকালীন আমলে। এদের বলা হত অসভ্য এবং বর্বর জাতী। এরা এক কালে গোটা ইউরোপ এবং এশিয়া জুড়ে রাজত্য কায়েম করেছিল। এদের সৈন্য সংখ্যা সারা বিশ্বের সর্বাধিক ছিল আর এদের সেনাপতি ছিল বিশ্বের সব থেকে নামকরা এবং ভয়ংকর যোদ্ধা চেঙ্গিস খান। চেঙ্গিস খানের নেতৃত্বে মঙ্গোল সেনাবাহিনী ছিল সর্বাধিক নিয়মানুবর্তি সেনাবাহিনী। এই সেনাবাহিনী বিখ্যাত ছিল ঘোড়ায় বসে তীর চালানোর জন্য। মঙ্গোলরা ঘোড়ার পিঠে বসে তীর চালানোর জন্য আবিস্কার করেছিল এক নতুন ধরনের তীর যা ছিল আঁকারে ছোট কিন্তু অন্যান্ন তীরের থেকে বেশি কার্যকর, আর তা প্রতিপক্ষের বর্ম ভেদ করতে সক্ষম ছিল। এছাড়াও তলোয়ারি দিয়ে যিদ্ধেও এরা ছিল অপ্রতিদন্ধি আর হস্ত যুদ্ধে অতুলনীয়।
ভারত বর্ষে আক্রমন করার পরে চেঙ্গিস খানের নেত্রিত্ত্বে দিল্লির দেওয়ালের (The Walls of Delhi) সামনে মানুষের কাঁটা মাথা দিয়ে একটা পিরামিড বানানো হয়। যেখানে স্থান পায় তৎকালীন আমলের সকল ভারতীয় যোদ্ধায়। নিজের প্রতিপত্তি দেখাতেই তৈরি করা হয় এই পিরামিড। আর যে সকল সৈনিকদের হত্যা করা হয়েছিল তাদের স্ত্রীদের সাথে কি করা হয়ছিল তা আর উল্লেখ করতে ইচ্ছা করছে না।


০৩) সোভিয়েত ইউনিয়নঃ

সোভিয়েত ইউনিয়ন নামটার সাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সাথে সরাসরি যুক্ত না থাকলেও পরোক্ষ ভাবে কিন্তু জড়িত। এ নিয়ে "আমাদের পরম মিত্র সোভিয়েত ইউনিয়ন" লেখায় বিস্তর আলোচনা করেছিলাম। আজ এক অন্য ভয়ংকর সোভিয়েতের সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেই।
কোটি কোটি মানুষ মারার দায় আছে সোভিয়ের ইউনিয়নের কমিউনিষ্টদের উপর। সারা বিশ্বে কমিউনিষ্টদের মধ্যে এরকম নিষ্টুর আচারন দেখা গেলেও সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিষ্টরা একাই মেরে ছিল নাৎসি বাহিনীর থেকে বেশি বেসামরিক মানুষ। কমিউনিষ্ট নেতাদের মধ্যে নাম করা গনহত্যা কারি নেতাদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য নাম হলঃ Josef Stalin, Mao Zedong, Pol Pot, Nicolae Ceausescu সহ আরো অনেকে। যারা মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ মেরেছে। তবে এ সকল কমিউনিষ্টদের মধ্যে গনহত্যার জন্য সব থেকে বেশি দ্বায়ি ব্যাক্তি হলেন সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিষ্ট নেতা ষ্টালিন (Stalin)। তার নেতৃত্বে প্রায় ১০ থেকে ৬০ মিলিয়ন বেসামরিক মানুষকে হত্যা করা হয়। আর এই ষ্টালিন ছিলের সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বাধিনায়ক। যদিও সোভিয়েত ইউনিয়ন অনেক বড় রাষ্ট্র ছিল কিন্তু তৎকালীন আমলে সব থেকে বেশি ভয়ে থাকত বেসামরিক লোকজন। না জানি কখন তাদের কপালে দূর্ভোগ নেমে আসবে। নাৎসি বাহিনী থেকেও এরা ভয়ংকর ছিল, কেননা যারা নাৎসি বাহিনীর সমর্থন করত তাদের উপর নাৎসি বাহিনী কোন প্রকার অত্যাচার বা অবিচার করত না কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিষ্টরা যেমন বাইরের যে কোন রাষ্ট্রের জন্য ছিল ভয়ংকর তেমনি নিজের দেশের বেসামরিক লোকদের জন্য ছিল ভয়ংকর। আর একারনেই বলা হয় সোভিয়েত ইউনিয়ন নাৎসিদের থেকেও ছিল ভংকর।


২) ক্যাল্টঃ

ক্যাল্ট (The Celts) জাতি এক অদ্ভুদ জাতিগোষ্টি। এই জাতি তেমন কোন বড় জাতি গোষ্টি নয় আবার ইতিহাসে তেমন জোড়ালো কোন প্রমান পাওয়াও যায় না এই জাতিগোষ্টির অস্তিত্বের। এদের অস্তিত্ব পাওয়া যায় ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ থেকে "গালাসা" (Gallatia) এর মধ্যবর্তি অঞ্চল গুলিতে। এদের সম্পর্কে যে তথ্য পাওয়া যায় তা হল, এরা বিখ্যাত ছিল মাথা কাঁটার জন্য। শত্রুর মাথা কেটে এরা ঘোড়া, ঘোড়ার গাড়ি এমন কি নিজেদের বাড়ির সামনে ঝুলিয়ে রাখত। অনেক ক্যান্ট জাতি গোষ্টির লোকেরা উলঙ্গ হয়ে যুদ্ধ করত আর যুদ্ধে এদের ব্যাবহৃত লম্বা তলোয়ারের জন্য বেশ বিখ্যাত ছিল। যুদ্ধে শত্রুকে মেরে তার মাথা কেটে ঘোড়ার গলায় ঝুলিয়ে রাখা হত। এই কাঁটা মাথা ঝুলিয়ে বিজয়ের গান গেয়ে তারা বাড়িতে ফিরে যেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই কাঁটা মাথা দিয়ে তার কি করত? তারা এই কাঁটা মাথা দারূবৃক্ষ এর তেলের মধ্যে চুবিয়ে তা সংরক্ষন করত। আর তা ঘড়ের মধ্যে সাজিয়ে রাখত আবার অনেক সময় ঘরের মধ্যে ঝুলিয়ে রাখত। যে যত নাম করা শত্রুর মাথা সংরক্ষনে রাখতেন সামাজিক ভাবে তার মর্যাদা ততো বেশি বৃদ্ধি পেত। কয়েক পুরুষ এই মাথা গুলি সংরক্ষন করে রাখত যাতে নিজেদের বংশের উজ্জ্বল অতীতের কথা সবাইকে বলতে পারে।

এছাড়াও আরো অনেক বিষয় আছে, যে বিষয় গুলি সম্পর্কে জানতে নিম্নের আর্টিকেলটি পড়তে পারেন,



০১)  আজটেকঃ

আজটেক (The Aztecs) জাতিগোষ্টি মূলত মধ্য মেক্সিকোর জাতিগোষ্টি, বিশেষ করে যারা "নাহুৎল" ভাষভাষি। এরা ১৪শ থেকে ১৬শ শতকের সময়কালে মেক্সিকো সহ আমেরিকার বেশির ভাগ এলাকা জুড়ে শাষন করত। এই আজটেক জাতি তাদের দিব্যতন্ত্র চর্চা করা শুরু করে ১৩শ শতক থেকে। মানুষ বলি দেবার প্রথাকে তারা এক নতুন মাত্রা দান করে। তারা বিশ্বাস করত ৫২ বছর পর পর পৃথিবী ধ্বংস হবার দ্বার প্রান্তে এসে দাঁড়ায়, কেননা এই সময় পর পর দেবতারা দূর্বল হয়ে পরে। আর তাদের শক্তি প্রদান করার এক মাত্র হল মানুষ বলি দেওয়া। এ কারনে তারা প্রায় সাড়া বছর ধরেই মানুষ বলি দেবার প্রথা চালু করে। বছরে প্রায় ২০,০০০ মানুষকে বলি দিত এই আজটেক জাতিগোষ্টিরা শুধু মাত্র সূর্য দেবতাকে শক্তি যোগাবার জন্য, যাতে প্রতিদিন সূর্য উঠাবার শক্তি পায় সূর্য দেবতা। আর বাদ বাকি দেবতাদের কথা না হয় বাদ দিলাম। বলি দেওয়া লোকদের বুক কেটে হৃৎপিন্ড বের করে নেওয়া হত আর মৃত্যু দেহ গুলিকে হয় উপর থেকে ফেলে দেওয়া হত অথবা দেহকে রেধে বিশাল আয়োজন করে উৎসব করা হত অথবা দেহ পুরিয়ে ফেলা হত অথবা মাথা কেটে ফেলে রাখা হত বন্য পশুদের খাদ্য হিসেবে। ধারনা করা হয় এই বলি গুলি দেওয়া হত মেক্সিকোর "সূর্য পিরামিড" এ। শুধু সূর্য দেবতার জন্য বছরে ২০,০০০ মানুষ বলি দেওয়া হত আর বৃষ্টির দেবতার জন্য সম্রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য মানুষ বলি দেওয়া হত। ধারনা করা হত যে বলি দেওয়া মানুষের চোখের পানি যত বেশি পরবে তত তাড়াতাড়ি বৃষ্টি পরা শুরু করবে। এবার বোঝেন ঠেলা। কি ভয়ংকর লাগছে? কিন্তু কাহিনী এখনো বাকি আছে। আগুনের দেবতাকে খুশি বা তার শক্তি জোগাবার জন্য নতুন বিবাহিত নারী পুরুষকে ফেলে দেওয়া হত আগুনে। আর আগুনে পুড়ে মারা যাবার ঠিক আগ মূহুর্তে তাদের বের করে এনে জীবন্ত অবস্থায় তাদের বুক চিরে হৃৎপিণ্ড বের করে দেবতার উদ্দেশ্যে উতসর্গ করা হত। আর ভুট্টার দেবতা জন্য এক জন কুমারী নারীকে ২৪ ঘন্টা ধরে নাচাবার পরে তাকে মেরে তার চামড়া ছিলে নিয়ে পুজারিকে পরিয়ে দেওয়া হত যাতে উতসর্গের কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় আজটেক জাতিগোষ্টির নতুন রাজা Ahuitzotl এর অভিষেকের সময় ৮০,০০০ লোককে বলি দেওয়া হয় শুধু মাত্র দেবতাদের খুশি করার জন্য।