6.তুলসি গাছ, Sacred or Holy Basil, Ocimum tenuiflorum.
বাংলা নামঃ তুলসি,
বৈজ্ঞানিক নামঃ
Ocimum tenuiflorum L. - holy basil
সমনামঃ
Ocimum sanctum L.
ইংরেজি নামঃ
Sacred Basil, Holy Basil.
আদিবাসি নামঃ তুলসি (Rakhaing), তুলসি (Tripura), Nung Na (Marma), Nung Gri (Marma), Tulosi (Tanchangya),
Ramal (Tanchangya), Mida phular gaas (Tripura), তুলসি ফাং (Garo)
জীববৈজ্ঞানিক
শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্যঃ Plantae - Plants
উপরাজ্যঃ Tracheobionta - Vascular
plants
অধিবিভাগঃ
Spermatophyta
- Seed plants
বিভাগঃ Magnoliophyta - Flowering
plants
শ্রেণীঃ Magnoliopsida - Dicotyledons
উপশ্রেণিঃ
Asteridae
বর্গঃ Lamiales
পরিবারঃ Lamiaceae - Mint family
গণঃ Ocimum L. - basil
প্রজাতিঃ Ocimum tenuiflorum L. - holy basil
পরিচিতিঃ তুলসী একটি সুগন্ধি
বীরুত্ জাতীয় উদ্ভিদ যার সাবেক বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ ছিলো পবিত্র স্থান । হাজার হাজার বছর
ধরে সাধারণত কৃষ্ণ ও রাধা তুলসী এই দুই প্রকারে
প্রাপ্ত তুলসী হিন্দু গৃহে পবিত্রতার প্রতীক হিসেবে পূজিত হয়ে আসছে যেহেতু এর পিছনে রয়েছে ধর্মীয়, পরিবেশগত ও
বৈজ্ঞানিক কারণ ।
ধর্মীয় কারণঃ ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণে তুলসীকে সীতাস্বরূপা,
স্কন্দপুরাণে লক্ষীস্বরূপা, চর্কসংহিতায় বিষ্ণুর ন্যায় ভুমি,
পরিবেশ ও আমাদের রক্ষাকারী বলে বিষ্ণুপ্রিয়া, ঋকবেদে কল্যাণী বলা হয়েছে । স্বয়ং ভগবান বিষ্ণু তুলসী দেবীকে পবিত্রা বৃন্দা বলে আখ্যায়িত করে এর সেবা করতে বলেছেন।
পরিবেশগত কারণঃ পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে তুলসীগাছ একমাত্র
উদ্ভিদ যা দিন রাত চব্বিশ ঘণ্টা
অক্সিজেন সরবরাহ করে বায়ু বিশুদ্ধ রাখে যেখানে অন্য যেকোন গাছ রাত্রিতে কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ করে তাই রাতের
বেলাতে
তুলসীতলায় শয়ন করাও ব্যক্তির জন্য
উপকারী।এছাড়া তুলসীগাছ ভুমি ক্ষয় রোধক এবং তুলসী গাছ লাগালে তা মশা কীটপতঙ্গ ও সাপ থেকে দূরে
রাখে।
বৈজ্ঞানিক ও স্বাস্থ্যগত কারণঃ
*তুলসীতেEugenolঅধিক পরিমাণে
থাকায় তা Cox-2
Inhibitorরূপে কাজ করে বলে
তা ব্যথানাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
*Hypoglycemic drugs এর সাথে তুলসী খেলে তা টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগে দ্রুত
গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে দেয়।
*তেজস্ক্রিয়তার ফেলে ক্ষতিগ্রস্থ কোষসমুহকে মেরামত করে।
*চর্বিজনিত হৃদরোগে এন্টি অক্সিডেন্টের ভুমিকা পালন করে।
*তুলসী একশেরও বেশি Phytochemicals (যেমন oleanolic acid, beta caryophyllene ইত্যাদি)বহন করে বলে ক্যান্সার চিকিত্সায় ব্যবহৃত হয়।
*তুলসীর অ্যালকোহলিক নির্যাস Immune system এর রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে।
*তুলসী স্নায়ুটনিক ও স্মৃতিবর্ধক।
*শ্বসনতন্ত্রের বিভিন্নরোগ যেমন ব্রঙ্কাইটিস, ইনফ্লুয়েঞ্জা ,হাঁপানি প্রভৃতি রোগের নিরাময়ক।
*সর্দি, কাশি, জ্বর, বমি, ডায়ারিয়া, কলেরা, কিডনির
পাথর,
মুখের আলসারসহ চোখের বিভিন্ন রোগে ইহা
ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
*দাঁতের রোগে উপশমকারী বলে টুথপেস্ট তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
শেয়ার করুন
0 coment rios:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন