বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০১৪

 লটকন

লটকন

      
                                                              লটকন
 জগৎ/রাজ্য: Plantae
(unranked): Angiosperms
(unranked): Eudicots
(unranked): Rosids
বর্গ: Malpighiales
পরিবার: Phyllanthaceae
গণ: Baccaurea
প্রজাতি: B. motleyana
 লটকন (বৈজ্ঞানিক নাম Baccaurea motleyana) এক প্রকার টক মিষ্টি ফল। গাছটি দক্ষিণ এশিয়ায় বুনো গাছ হিসেবে জন্মালেও বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে বানিজ্যিক চাষ হয়। লটকন বৃক্ষ ৯-১২ মিটার লম্বা হয়, এর কান্ড বেটে এবং উপরাংশ ঝোপালো। পুং এবং স্ত্রী গাছ আলাদা; যাতে আলাদা ধরণের হলুদ ফুল হয়, উভয় রকম ফুলই সুগন্ধি। ফলের আকার দুই থেকে পাঁচ সেমি হয়, যা থোকায় থোকায় ধরে। ফলের রঙ হলুদ। ফলে ২-৫ টি বীজ হয়, বীজের গায়ে লাগানো রসালো ভক্ষ্য অংশ থাকে, যা জাতভেদে টক বা টকমিষ্টি স্বাদের। এই ফল সরাসরি খাওয়া হয় বা জ্যাম তৈরি করা হয়। এর ছাল থেকে রঙ তৈরি করা হয় যা রেশম সুতা রাঙাতে ব্যবহৃত হয়। এর কাঠ নিম্নমানের। ছায়াযুক্ত স্থানেই এটি ভাল জন্মে। লটকনের বেশ কয়েকটি নাম রয়েছে; যেমন- হাড়ফাটা, ডুবি, বুবি, কানাইজু, লটকা, লটকাউ, কিছুয়ান ইত্যাদি। বাংলাদেশে একসময় অপ্রচলিত ফলের তালিকায় ছিল লটকন। অধুনা এর বানিজ্যিক উৎপাদন ব্যাপক আকারে হচ্ছে। উন্নত জাতের সুমিষ্ট লটকনের চাষ বৃদ্ধির সাথে সাথে এর জনপ্রিয়তাও বেশ বেড়েছে। এদেশের নরসিংদীতেই লটকনের ফলন বেশি। এ ছাড়া সিলেট, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাজীপুর—এসব জেলায়ও ইদানীং বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লটকনের চাষ হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে লটকন বিদেশেও রফতানি করা হয়।
         ফুল - শ্বেতকাঞ্চন

ফুল - শ্বেতকাঞ্চন

        



                                                                শ্বেতকাঞ্চন ফুল
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae
বিভাগ: Magnoliophyta
শ্রেণী: Magnoliopsida
বর্গ: Fabales
পরিবার: Fabaceae
উপপরিবার: Caesalpinioideae
গোত্র: Cercideae
গণ: Bauhinia
প্রজাতি: B. acuminata
দ্বিপদ নামঃ Bauhinia acuminata
বাংলায় সাদাকাঞ্চন নামে পরিচিত ফুলটির অন্যান্য নামের মধ্যে রয়েছে Dwarf White orchid tree, Dwarf white bauhinia, Safed Kachnar, Chingthrao angouba, Vellai mandaarai, Sivamalli উল্লেখযোগ্য। শোভাবর্ধনকারী এই উদ্ভিদের বসতি ম ধ্যভারত, শ্রীলংকা, মালয় ওচিন। বাংলায়। দেখতে সুদৃশ্য হওয়ায় আমরা এদেরকে শুধু বাগানের শোভাবর্ধনে চাষ করে থাকি। এটি Caesalpinaceae (Gulmohar family) পরিবারের অন্তর্গত একটি উদ্ভিদ। এটি ২-৩ মিটার উঁচু প ত্রমোচি গাছ, পাতার দৈর্ঘ্য ১০-১৫ সেমি ও প্রস্থ ৭-১২ সেমি, পাতার আগা দুই ভাগে বিভক্ত ও মসৃণ, নিচের শিরা সামান্য রোমশ। গাছ মোটামুটি ঝোপবিশিষ্ট, ফুল সাদা, মার্চ-অক্টোবর সময়ে গাছ অনবরত ফুল দেয়। বীজ দ্বারা এর বংশবিস্তার হয়, বীজের গাছ এক বছরেই ফুল দেয়।
Bauhinia গণে অনেক প্রজাতি আছে। কিন্তু Bauhinia acuminata প্রজাতিটি ব্যতীত অন্য সবগুলি বৃক্ষ। কোনো কোনোটি আবার লতানো। বাংলাদেশে Bauhinia গণে পাওয়া যায় দেবকাঞ্চন (Bauhinia purpurea) এবং রক্তকাঞ্চন (Bauhinia variegata) নামে দুটি বৃক্ষ।
তরুণদের বিয়ে ভীতি

তরুণদের বিয়ে ভীতি

পুরুষের বিয়ে ভীতি। শুনতে নিশ্চয়ই অবাক করার মত কথা। হঁযা, আজকাল তরুণদের একটা বড় অংশের বিয়ে ভীতি রয়েছে। আর এই বিয়ে ভীতির কারণ অর্থ-বিত্তের অভাব, বেকারত্ব, শারীরিক অসুস্থতা, পাত্রী অপছন্দ, নতুন জীবনে পদার্পণ বা দাম্পত্য আতংক এসব কিছুই নয়। বিয়ে ভীতিতে আক্রান্ত তরুণ-যুবকদের বৃহত্তর অংশ মনে করে তাদের জীবন শেষ হয়ে গেছে। তারুণ্য-যৌবনে শরীরের ওপর অত্যাচার-অবিচার, ক্ষেত্রবিশেষে মাদক সেবন এবং নারীর সংস্পর্শে এলে নিজের নিষ্ক্রীয়তার অভিজ্ঞতা, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যৌনজীবন নিয়ে ভুল ধারণা এবং মানসিক সমস্যা এবং কিছু কিছু মেয়েদের অতিরিক্ত জ্ঞান তরুণদের বিয়ে ভীতির প্রধান কারণ। অবশ্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে শারীরিক সমস্যা নেই তা বলা যাবে না। তবে ডাক্তারদের চেম্বারে আসা বিয়ে ভীতিতে আক্রান্ত তরুণদের শতকরা ৮০ থেকে ৯০ ভাগেরই কোন শারীরিক সমস্যা নেই। গত ছয়মাসে আমার চেম্বারে আসা বিয়ে ভীতিতে আক্রান্ত শতাধিক তরুণ ও যুবকের ওপর পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায় শতকরা ৮০ ভাগের কোন ধরনের শারীরিক সমস্যা নেই।

শতকরা ৫ ভাগের প্রয়োজনীয় কিছু হরমোনের ঘাটতি রয়েছে যা চিকিৎসাযোগ্য, শতকরা ১০ ভাগের শরীরে প্রয়োজনীয় শুক্রাণুর অভাব রয়েছে (আলগেস পাকিস), শতকরা ২/৩ ভাগের শরীরে কোন শুক্রাণু নেই (অ্যাজোসপারসিযঅ)। এছাড়া শতকরা যে ২০ ভাগের কিছু কিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে তাদের মধ্যে শতকরা অন্ততঃ ৫ ভাগের যৌন সমস্যা (ইম্পোর্টেন্স) রয়েছে। এ তথ্য আন্তর্জাতিক গবেষণা তথ্যের সঙ্গে সঙ্গাতিপূর্ণ। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে আমাদের দেশের তরুণরা অধিক সুঠাম ও সক্ষম। তবুও তরুণদের বিয়ে ভীতি কেন। এসব তরুণদের কাছে চেম্বারে আমি পাঁচটি প্রশ্ন করে থাকি। কেমন করে তারা বুঝতে পেয়েছে তারা ফুরিয়ে গেছে বা শারীরিক যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে।

 তাদের এই ধারণার পিছনে কোন বাস্তব অভিজ্ঞতা রয়েছে কি? শারীরিক শক্তি ফিরিয়ে কোন ওষুধ সেবন করেছে কি, ইত্যাদি ইত্যাদি। তরুণ-যুবকদের বিচিত্র সব জবাব, অভিজ্ঞতা, এসব তুলে ধরার কোন ইচ্ছা আমার নেই। এছাড়া রোগীর গোপন তথ্য প্রকাশ মেডিক্যাল এথিকস অবমাননার পর্যায়ে পড়ে। তাই এসব নিয়ে দীর্ঘ বর্ণনার কোন ইচ্ছে নেই। তবে এ কথাটি সত্য, তরুণদের বিয়ে ভীতির কারণের পিছনে যেমন অজ্ঞতা, মানসিক সমস্যা এবং তরুণদের একটি বড় অংশের বাস্তব অভিজ্ঞতা নেতিবাচক হওয়ায় (যার শতকরা ৯৯ ভাগ বিয়ের পর ঠিক হয়ে যায়) বিভ্রান্তি বাড়ছে। পাশাপাশি একশ্রেণীর তথাকথিত যৌন সমস্যা চিকিৎসক নামধারীদের অজ্ঞতা এবং ভুল চিকিৎসার কারণে তরুণদের যৌন ভীতি বেড়ে যাচ্ছে। বিয়ে করেনি এমনসব তরুণদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেক্স স্টিমুল্যান্ট ট্যাবলেট দেয়া হয়। ফলে এসব তরুণরা মনে করে তাদের নিশ্চয়ই যৌন সমস্যা রয়েছে। এতে তরুণদের সাময়িক শারীরিক ফিটনেস বাড়লেও দীর্ঘমেয়াদি মানসিক সমস্যার সৃষ্টি করে। এমনকি একাধিক তরুণ অকপটে শিকার করেছেন ডাক্তারের দেয়া যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট সেবন করে অপকর্মে লিপ্ত হয়েছেন। এসব বিয়ে ভীতি বা যৌন ভীতিতে আক্রান্তদের বেশির ভাগের প্রায় একই মন্তব্য যতদিন ট্যাবলেট সেবন করেন ততদিন ভালো থাকেন। ওষুধ সেবন শেষ তো সবশেষ। অথচ এসব তরুণের শতকরা ৮০ থেকে ৯০ ভাগই শারীরিকভাবে সুস্থ এবং কেবলমাত্র যথাযথ কাউন্সিলিং করতে পারলে কোন প্রকার যৌন উত্তেজক ওষুধ ছাড়াই তরুণদের বিভ্রান্তি দূর করা সম্ভব।


এ প্রসঙ্গে আমি আগেও বলেছি শুধু বাংলাদেশের তরুণদেরই বিয়ে ভীতি এবং যৌন ভীতি বেশি। এ ক্ষেত্রে একটি উদাহরণ দেবো। আমি সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে চর্ম ও যৌন রোগের ওপর পোস্ট গ্রাজুয়েশন করার সময় সিঙ্গাপুর ডিএসসি ক্লিনিকে কিছুদিন অবজারভার হিসেবে প্রশিক্ষণ নেই। প্রচুর বাংলাদেশী তরুণ আসতো এ ক্লিনিকে। সিঙ্গাপুর ডিএসসি ক্লিনিক বাংলাদেশের যেকোন প্রাইভেট হাসপাতালের চেয়ে বড় কেবলমাত্র যৌন রোগীদের চিকিৎসা করা হয় এই ক্লিনিকে। আমি দেখেছি সিঙ্গাপুরে চাকরিরত বাংলাদেশী তরুণরাও নানা ভুল ধারণার কারণে নানা ধরনের যৌন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এসব তরুণের অনেকেরই যৌন জীবন নিয়েও রয়েছে নানা বিভ্রান্তি। কয়েকমাস আগে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। হাসপাতালের অন্যতম চিকিৎসক ডাঃ শক্তির সঙ্গে আমার পূর্ব নির্ধারিত মিটিং ছিল। তিনি একাধিকবার আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। যা হোক, ডাঃ শক্তি যৌন সমস্যার রোগীদের চিকিৎসা করেন। বাংলাদেশ থেকে বেশকিছু রোগী যায় ব্যাংকক হাসপাতালে। ডাঃ শক্তি আমাকে প্রায় একই রকম তথ্য দিলেন। বাংলাদেশী রোগীদের শারীরিক বা যৌন সমস্যার চেয়ে মানসিক সমস্যাই বেশি।


থাক এসব কথা। তরুণদের বিয়ে ভীতি আসলে মোটেও শারীরিক সমস্যার কারণে হয় না। যৌবনে অধিকাংশ পুরুষই কিছু অনাকাঙ্খিত অভ্যাসের শিকার হয়। এর জন্য শরীরের যৌন শক্তি শেষ হয়ে যাবে এটা নিতান্তই ভুল ধারণা। শরীরে যৌন শক্তি নামে আলাদা কোন শক্তি নেই। শারীরিক সুস্থতা, সুঠাম দেহ, মানসিক প্রশান্তি থাকলে এবং পরস্পরের সুন্দর সম্পর্কও সমঝোতা থাকলে প্রাত্যহিক জীবনের অন্যসব কাজের মত দাম্পত্য জীবনও সুখের হতে পারে। তাই বিয়ে ভীতির কারণে তরুণদের যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট সেবন করা উচিত নয়। এছাড়া এজন্য অযথা ডাক্তারের চেম্বারে যাবারও কোন দরকার নেই। তবে বিয়ের পর যদি কোন শারীরিক সমস্যা থাকে এবং এ কারণে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের অবনতি হওয়ার আশংকা তৈরি হয় তখন যেকোন সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন। যদি ছোটখাটো শারীরিক সমস্যা থেকে থাকে তা আবশ্যই চিকিৎসায় ভালো হয়। অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসা-ওষুধ ছাড়াই কাউন্সিলিং তরুণদের বিয়ে ভীতি দূর এবং বিবাহ পরবর্তী জীবন সুন্দর হতে পারে।


লেখকঃ ডাঃ মোড়ল নজরুল ইসলাম
চুলপড়া, যৌন সমস্যা ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ
এবং লেজার এন্ড কসমেটিক্স সার্জন
চেম্বারঃ লেজার স্কিন সেন্টার
বাড়ী নং-২২/এ, রোড-২, ধানমন্ডি, ঢাকা।
বিয়ে ভেঙে যাওয়ার ৯ আলামত

বিয়ে ভেঙে যাওয়ার ৯ আলামত



কে না চায় সুখী দাম্পত্য! কিন্তু সবার জীবনে কি আর সেই সুখ মেলে! তুচ্ছ থেকে শুরু করে গুরুতর নানা বিষয় নিয়ে বিষিয়ে ওঠে অনেক দম্পতির জীবন। খুবই অপ্রত্যাশিতভাবে একের পর এক নানা ঘটনা ঘটতে থাকে, যার ফলাফল নিশ্চিত বিবাহ-বিচ্ছেদ। বিয়ে ভেঙে যাওয়ার আগে সাধারণত যে ধরনের আলামত দেখা দেয়, সম্প্রতি তা প্রকাশ করা হয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে। নয়টি আলামতের কথা রয়েছে সেখানে।

অতীত নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি
অতীত নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি শুরু হয়ে যায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। কথার আঘাতে একে অন্যকে ঘায়েল করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তাঁরা। স্ত্রী তাঁর স্বামীর পরিবারের সদস্যদের একদমই সহ্য করতে পারেন না। ঠিক একই আচরণ লক্ষ করা যায় স্বামীর মধ্যেও।

তুচ্ছ কারণে ঝগড়া
ঝগড়া করার জন্য তুচ্ছ নানা কারণ খুঁজে বের করার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। সামান্য কোনো অভিযোগ পেলেই তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলতে উদ্যত হন তাঁরা। একটা পর্যায়ে তাঁরা একে অন্যকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন। স্বামী কিংবা স্ত্রী ঘর থেকে বের হলে একদমই ঘরে ফিরতে ইচ্ছে করে না তাঁদের। এসব সমস্যার কোনো সমাধানও তাঁরা দেখতে পান না।

মতের অমিল
স্বামী-স্ত্রীর মতের অমিল প্রকট আকার ধারণ করে। যৌথভাবে কোনো সিদ্ধান্তই তাঁরা নিতে পারেন না। দুজনই যাঁর যাঁর অবস্থানকে সঠিক প্রমাণ করার জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন। নিজের মতামত ঠিক কি না, তা ব্যাখ্যা করার জন্য কোনো যুক্তির আশ্রয় নেওয়ার প্রয়োজন তাঁরা অনুভব করেন না। মূলত ইগো সমস্যার কারণেই এমনটা হয়। একপক্ষ মনে করতে থাকে তাঁর আত্মমর্যাদায় আঘাত দেওয়ার চেষ্টা করছে অপর পক্ষ। একে অন্যকে স্বার্থপর বলেও ভাবতে শুরু করেন তাঁরা।

গোপন ঈর্ষা
মনের অজান্তেই চুপিসারে ঈর্ষা নামের বিষবাষ্প ঢুকে পড়ে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে। সঙ্গীর ওপর থেকে আস্থা পুরোপুরি উঠে যায়। একটা পর্যায়ে একে অন্যকে অবজ্ঞা করতে শুরু করেন তাঁরা।

আত্মকেন্দ্রিকতা
স্বামী-স্ত্রী নিজ নিজ স্বার্থের বাইরে আর কিছুই ভাবতে পারেন না। নিজেকে উপেক্ষিত ও অনাহূত বলে মনে করতে থাকেন তাঁরা। সংসারকে আর নিজের বলে মনে হয় না। একটা সময়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ‘আমাদের’ বলে আর কিছু থাকে না। আত্মকেন্দ্রিক হয়ে ওঠেন দুজনই। এটা খুবই ভয়ংকর একটি বিষয়।

প্রতারণা
বিয়ে ভেঙে যাওয়ার আগে অনেক ক্ষেত্রে স্বামী কিংবা স্ত্রীর কেউ একজন প্রতারণার আশ্রয় নেন। পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন তাঁদের কেউ কেউ।  নিশ্চিতভাবেই এটা বিয়ে এবং পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়।

আকাঙ্ক্ষার মৃত্যু
স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই যৌন মিলনের আকাঙ্ক্ষা উবে যায়। আর যৌন সম্পর্ক স্থাপিত হলেও সেখানে কোনো রকম আবেগ কাজ করে না। যৌনতাকে পুরোপুরি যান্ত্রিক একটি প্রক্রিয়া বলে মনে হয় তাঁদের কাছে। অথচ দাম্পত্য জীবনকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে যৌন সম্পর্কের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সমস্যা পুঞ্জীভূত করার চেষ্টা
সমস্যা সমাধানের কোনো ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার চেষ্টা করেন না স্বামী কিংবা স্ত্রী। তাঁরা হাল ছেড়ে দেন। একে অন্যের কাছ থেকে পালিয়ে বেড়ান তাঁরা। একটা পর্যায়ে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ না নিয়ে বরং সমস্যা পুঞ্জীভূত করার চেষ্টায় মেতে ওঠেন তাঁরা। পুঞ্জীভূত ক্ষোভ বিস্ফোরিত কবে হবে, সেই প্রতীক্ষায় দিন গুনতে থাকেন। সম্পর্কের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেওয়ার ইচ্ছে থেকেই তাঁরা এমনটা করেন।

যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া 
পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ করে দেন স্বামী ও স্ত্রী। যে দাম্পত্যে একটা সময়ে কথার ফুলঝুরি ঝরত, সেখানে ভর করে আশ্চর্য এক নীরবতা। তাঁরা কথা বলা বন্ধ করে দেন এবং একে অন্যের ছায়াও মাড়ান না। কোনো দম্পতির মধ্যে এমন আলামত দেখা যাওয়ার অর্থ হচ্ছে ফেরার আর কোনো পথ নেই। নিশ্চিত বিবাহ-বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন তাঁরা।

  একাধিক স্বামী

একাধিক স্বামী

                           

প্রশ্নঃ একজন পুরুষ যদি একাধিক স্ত্রী রাখার অনুমতি পায়, তাহলে ইসলাম একজন নারীকে কেন একাধিক স্বামী রাখতে নিষেধ করে?

জবাব

অসংখ্য মানুষ যার মধ্যে অনেক মুসলমানও রয়েছে, প্রশ্ন করেন-মুসলিম পুরুষ একাধিক স্ত্রী রাখার অনুমতি পাচ্ছে অথচ নারীর ক্ষেত্রে সে অধিকার অস্বীকার করা হচ্ছে, এর যৌক্তিকতা কি? অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে যে কথাটি প্রথমেই আমাকে বলে নিতে হবে, তা হলো ভারসাম্যপূর্ণ ন্যায় বিচার ও সমতার ভিত্তির ওপরেই একটি ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠিত। মানুষ হিসেবে আল্লাহ তা’আলা নারী ও পুরুষকে সমান মান দিয়েই সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু সাথে সাথে সামর্থ ও যোগ্যতার ভিন্নতা এবং সে অনুযায়ী দায়িত্ব কর্তব্যের বিভিন্নতা দিয়ে। শারিরীক ও মানসিক ভাবে নারী ও পুরুষ সম্পূর্ন ভিন্ন। জীবনের ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা এবং দায়িত্ব-কর্তব্যও বিভিন্ন। ইসলামে নারী ও পুরুষ সমান কিন্তু একই রকম নয়। সূরায়ে নিসার ২২ থেকে ২৪ আয়াতে একটি তালিকা দেয়া হয়েছে যে, মুসলিম পুরুষ কোন কোন নারীকে বিবাহ করতে পারবে না। এর পরে ২৪ আয়াতে আলাদা করে বলা হয়েছে সেই সব নারীও (নিষিদ্ধ) যারা অন্যের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ আছে- অর্থাৎ অন্যের বউ।
ইসলামে নারীর জন্য বহু-স্বামী গ্রহণ নিষিদ্ধ কেন, নিম্নোদ্ধৃত বিষয়গুলো তা পরিষ্কার করে দেবে।
ক. একজন পুরুষের একধিক স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তার পরিবারে জন্মগ্রহণকারী শিশুদের মাতা-পিতার পরিচয় খুব সহজেই পাওয়া যায়। শিশুর পিতা কে আর মাতা কে। অপরদিকে একজন নারী যদি একাধিক স্বামী গ্রহণ করে তবে এ পরিবার জন্ম নেয়া শিশুর শুধু মায়ের পরিচয় পাওয়া যাবে-বাবার নয়। পিতা ও মাতার সুস্পষ্ট পরিচয়ের ক্ষেত্রে ইসলাম আপোসহীন। আধুনিক মনোবিজ্ঞানিরা বলেন, যে শিশু তার মাতা-পিতার পরিচয় জানে না, বিশেষ করে পিতার- সে শিশু তীব্র মানসিক জটিলতা ও হীনমন্যতায় ভোগে। এ শিশুদের শৈশব নিকৃষ্টতর এবং আনন্দহীন । দেহপসারিণী বা বেশ্যাদের সন্তানরা এর জলন্ত প্রমাণ। এদের শিশুকাল ও কৈশোর মর্মান্তিক। বহু স্বামী গ্রহণকারী পরিবারে জন্ম পাওয়া শিশুকে নিয়ে কোনো স্কুলে ভর্তী করতে গেলে যদি মাকে প্রশ্ন করা হয় শিশুর পিতার নাম? তা হলে সে মাকে দু’জন অথবা তার বেশি পুরুষের নাম বলতে হবে। বিজ্ঞানের অগ্রগতি এখন জেনেটিক পরীক্ষার মাধ্যমে মাতা ও পিতা উভয়কে সনাক্ত করার কৌশল আবিষ্কার করেছে। কাজেই যে বিষয়টা অতীতে অসম্ভব ছিল বর্তমানে তা খুব সহজেই হতে পারে।
খ. প্রকৃতি প্রদত্ত যোগ্যতা ও বৈশিষ্ট, বহুগামীতায় নারীর চাইতে পুরুষের বেশি।
গ.শারীরিক যোগ্যতায় একজন পুরুষের পক্ষে কয়েকজন স্ত্রীর স্বামীর দায়িত্ব ও ভূমিকা পালন সহজ। একজন নারী সেই একই অবস্থানে, অর্থাৎ যার কয়েকজন স্বামী আছে, তাদের স্ত্রী হিসেবে যে দায়িত্ব ও কর্তব্য তার ওপর বর্তায় তা পালন করা তার পক্ষে আদৌ সম্ভব নয়। কেননা মাসিক ঋতুচক্রের বিভিন্ন পর্যায়ে মানসিক ও আচরণগত বিভিন্ন পরিবর্তনের মধ্যে তাকে পড়তে হয়।
ঘ. একজন নারী যার একাধিক স্বামী থাকবে-তাকে তো একই সাথে কয়েকজনের যৌন-সঙ্গী হতে হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সমূহ সম্ভাবনা থাকবে যৌন রোগের এবং যৌনতার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অন্যান্য মারাত্মক ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়ার। উপরন্তু তার মাধ্যমেই সে সব রোগে তার স্বামীর আক্রান্ত হবে। এমনকি যদি তার স্বামীদের কারো অন্য কোনো নারীর সাথে বিবাহ বহির্র্ভূত যৌন সম্পর্ক নাও থাকে। পক্ষান্তরে একজন পুরুষ- যার একাধিক স্ত্রী রয়েছে, স্ত্রীদের কারো যদি বিবাহ বহির্ভূত অন্য কারো সাথে যৌন সম্পর্ক না থাকে তাহলে যৌনতা সংক্রান্ত কোনো রোগে আক্রান্ত হবার আদৌ কোনো সম্ভাবনা নেই।
উপরোল্লেখিত কারণগুলো এমন যা যে কারো পক্ষে চেনা এবং বুঝে নেয়া সম্ভব। এছাড়া হয়তো আরো অসংখ্য কারণ থাকতে পারে যে কারণে অন্তহীন জ্ঞানের আধার সৃষ্টিকর্তা বিধাতা প্রতিপালক আল্লাহ তা‘আলা নারীদের জন্য বহু স্বামী বরণ নিষিদ্ধ করেছেন।

সোমবার, ২১ জুলাই, ২০১৪

হন্ডুরাসের মাছ বৃষ্টি

হন্ডুরাসের মাছ বৃষ্টি

 

ন্ডুরাসের লোকাচার বিদ্যায় মাছ বৃষ্টি একটি সাধারণ ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, এ অবিশ্বাস্য প্রাকৃতিক ঘটনা ঘটে মে থেকে জুলাই মাসের মাঝামাঝি। প্রথমে আকাশে কালো করে মেঘ জমে। এরপর শুরু হয় তুমুল বৃষ্টি, সে সঙ্গে প্রবল বাতাস, বিদ্যুৎ চমক আর বজ্রপাত। এ রকম চলে প্রায় ২-৩ ঘণ্টা। বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর শত শত জীবন্ত মাছ পড়ে থাকতে দেখা যায় মাটির ওপরে। লোকজন এসব মাছ কুড়িয়ে নিয়ে রান্না করে খায়। ১৯৯৮ সাল থেকে স্থানীয় লোকজন এ প্রাকৃতিক ঘটনার ওপর ভিত্তি করে প্রতি বছর উৎসবের আয়োজন করে।

ফ্রান্সের প্রকৃতিবিজ্ঞানী এন্দ্রে মেরি এমপেরের মতে, আটলান্টিক মহাসাগরে সংঘটিত টর্নেডো উঠিয়ে নিয়ে আসে এই মাছগুলো এবং ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হন্ডুরাসের ইউরো শহরে ফেলে। তবে প্রতি বছর একই সময় টর্নেডো আটলান্টিক মহাসাগর থেকে মাছ উঠিয়ে এনে ইউরোতেই ফেলবে-এ ধরনের কাকতালীয় ঘটনা অনেকের মতে অসম্ভব। অনেকের মতে এ মাছগুলো স্বাদু পানির এবং সাঁতরে কাছের নদী কিংবা জলাশয় থেকে ভূগর্ভস্থ জলাধারে আশ্রয় নেয়। ভারী বৃষ্টিতে মাটি ধুয়ে গেলে মাছগুলো উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। অনেকের মতে, ১৮৫৬-১৮৬৪ সালে হন্ডুরাসে আসা এক সাধুর কারণে এ মাছ বৃষ্টি হয়। কথিত আছে, অনেক অভাবী লোক দেখে সেই সাধু তিন দিন, তিন রাত সৃষ্টিকর্তার কাছে অভাবীদের খাবারের চাহিদা মেটানোর মতো কোনো অলৌকিক ঘটনার জন্য প্রার্থনা করেছিলেন। সেই অলৌকিক ঘটনাই হচ্ছে এই মাছ বৃষ্টি বলে তাদের বিশ্বাস।
দাড়িওয়ালা সম্ভ্রান্ত পরিবারের মহিলা

দাড়িওয়ালা সম্ভ্রান্ত পরিবারের মহিলা


                                             
সিডোনিয়া (SIDONIA DE BARCSY) -দাড়িওয়ালা সম্ভ্রান্ত পরিবারের মহিলা তাকে “The beard baroness’’ নামে ডাকা হয়।

অনেক দাড়িওয়ালা মহিলার তুলনায় তিনি ব্যতিক্রম ছিলেন কারণ তিনি ছিলেন একজন রয়েল ফ্যামিলির সদস্য। তিনি স্বাভাবিক ভাবেই জন্মগ্রহন করেন ১ই মে, ১৮৮৬ সালে। তার মুখে দাড়ি গজানো শুরু হয় তার প্রথম সন্তানের জন্মের পর ১৯ বছর বয়সে। দাড়ি গজানো শুরু হউয়ার মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই সিডোনিয়ার দাড়ির দৈর্ঘ্য বেড়ে দাঁড়ায় ৯ইঞ্চিতে!! তার সন্তান টি (nicu) ছিলো জন্মগতভাবেই বামন...

অস্বাভাবিক লাগলেও সত্য সিডোনিয়ার হাসবেন্ড, (বেরন) Baron Antonio De barcsy তার স্ত্রীর দাড়ি নিয়ে গর্ববোধ করতেন এবং তিনি নিজেও ছিলেন অস্বাভাবিক রকম মোটা, ওজন ছিলো প্রায় ৪০০পাউন্ড এর মত, বেরন তার পরিবারের এসব অস্বাভাবিকতা কে ঠিক ই কাজে লাগান।
তারা ফ্যামিলির মেম্বার রা মিলেই একটি দল গঠন করেন, এবং প্রদর্শনীর আয়োজন করেন। যেটি খুব শিগ্রই জনপ্রিয়তা অর্জন করে... তাদের জনপ্রিয়তার মুল কারণ ছিলো তারা সবাই ছিলো সম্ভ্রান্ত পরিবারের মানুষ। তারা বিভিন্ন দেশে ভ্রমন ও করেন এবং যথারীতি তাদের জনপ্রিয়তা বারতেই থাকে।

১৯১২ সালে বেরন মারা যান অসুস্থতা জনিত কারণে, স্বামী মারা যাওয়ার পর ও সিডোনিয়া তাদের দলটি চালু রাখেন এবং অনেক দেশে ভ্রমণ ও পরিচালনা করেন... সিডোনিয়া
মারা যান ১৯২৫ সালে ডায়াবেটিস এর কারণে। তাদের বামন সন্তান এবং বেরন বংশের শেষ উত্তরসূরি nicu মারা যান ১৯৭৬ সালে ৯১ বছর বয়সে।

                                                                    





সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পাইরেসি হওয়া মুভির তালিকা

সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পাইরেসি হওয়া মুভির তালিকা

১৯৮২ সালে রিলিজ হওয়া E.T. the Extra-Terrestrial ছিল ভিডিও পাইরেসি হওয়া প্রথম চলচিত্র। অর্থাৎ এই ছবির মাধ্যমেই মুভি জগতে পাইরেসির শুরু হয়।  আমরা সবাই কমবেশি বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে মুভি ডাউনলোড করে থাকি। আর এর বেশীরভাগটাই হয় টরেন্ট-এর মাধ্যমে। ২০০১ সাল থেকে বিট টরেন্ট-এর আবির্ভাবের পর মুভি ডাউনলোড অনেক সহজ হয়ে যায় এবং দিন দিন মুভি ডাউনলোডের সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে। এভাবে মুভি ডাউনলোড করাকেও মুলত "পাইরেসি" বলে আখ্যায়িত করা হয়।  আজ আমি সবচেয়ে বেশি পাইরেসি হওয়া ১০টি মুভির তালিকা জানাব। কিছু ছবির ক্ষেত্রে ডাউনলোডের সংখ্যা(প্রায়) এক মনে হলেও তালিকাটি সঠিক। 
১ আভাটার(২০০৯)
http://i.imgur.com/zCC8p.jpg
পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যবসাসফল ছবি এটি হলেও পাইরেসিতেও সবার চেয়ে এগিয়ে। এ পর্যন্ত প্রায় দুই কোটি দশ লক্ষ(২১ মিলিয়ন) মানুষ ছবিটি ডাউনলোড করেছে। 
২ দি ডার্ক নাইট(২০০৮)
http://i.imgur.com/So1fM.jpg
দ্বিতীয় স্থানে আছে দি ডার্ক নাইট। ছবিটি আমাদের সবার পছন্দ বলেই এক কোটি নব্বই লক্ষ(১৯ মিলিয়ন) বার ডাউনলোড হয়েছে।
৩ ট্রান্সফরমার্স (২০০৭)
http://i.imgur.com/PP4HR.jpg
এই ছবিটিও ডাউনলোড হয়েছে প্রায় এক কোটি নব্বই লক্ষ বার(১৯ মিলিয়ন)। দুর্দান্ত ভিসুয়াল এফেক্ট আর অ্যাকশানই এর জনপ্রিয়তার প্রধান কারন ধরা হয়।
৪ ইনসেপশন(২০১০)
http://i.imgur.com/YWmRC.jpg
দুর্দান্ত এক সায়েন্স ফিকশন। অনেকের মতে সায়েন্স ফিকশনের ধারনাই পালটে দিয়েছে এই ছবিটি। আর এই ছবিটি এক কোটি আশি লক্ষ বার(১৮ মিলিয়ন) ডাউনলোড করা হয় সারা পৃথিবী জুড়ে।
৫ দি হ্যাঙওভার(২০০৯)
http://i.imgur.com/p2MEj.jpg
দম ফাটানো এক হাসির ছবি। মুক্তির পর এ পর্যন্ত প্রায় এক কোটি সত্তর লক্ষ(১৭ মিলিয়ন) বার ডাউনলোড করা হয়েছে। 
৬ স্টার ট্রেক(২০০৯)
http://i.imgur.com/sTOpk.jpg
দুর্দান্ত এই সাইফাই অ্যাকশান ছবিটি এক কোটি ষাট লক্ষ(১৬ মিলিয়ন) বার ডাউনলোড করা হয়।
৭ কিকএস(২০১০)
http://i.imgur.com/XQzK5.jpg
সুপারহিরো মুভি হলেও অন্যসব সুপারহিরো মুভি থেকে এটি আলাদা। এই ছবিটি এক কোটি পনেরো লক্ষ বার(১৫ মিলিয়ন) ডাউনলোড করা হয়েছে। 
৮ দি ডিপার্টেড(২০০৬) 
http://i.imgur.com/vhDtY.jpg
অ্যাকশান, ভায়লেন্স আর ড্রামার সংমিশ্রণে তৈরি চলচিত্রটি মারটিন স্করসিসের এক অনবদ্য সৃষ্টি। এ পর্যন্ত সারা পৃথিবীর এক কোটি চৌদ্দ লক্ষ(১৪ মিলিয়ন) মানুষ ছবিটি ডাউনলোড করেছে।
৯ দি ইঙ্ক্রেডিবল হাল্ক(২০০৮) 
http://i.imgur.com/OKsZn.jpg
অ্যাকশান সুপারহিরো মুভিটিও পৃথিবীব্যাপী প্রায় এক কোটি চৌদ্দ লক্ষ বার(১.৪ মিলিয়ন) ডাউনলোড করা হয়।
১০ পাইরেটস অব দি ক্যারিবিয়ান: অ্যাট ওয়ার্ল্ডস ইন্ড(২০০৭)
http://i.imgur.com/9Guk4.jpg
এক কোটি চৌদ্দ লক্ষ বার(১.৪ মিলিয়ন) ডাউনলোড হয়ে এর অবস্থান সবচেয়ে বেশি পাইরেসি হওয়া দশটি সিনেমার একটি। এই ছবিটিও প্রায় সবার দেখা।
 নিমপাতার নানা গুন

নিমপাতার নানা গুন

বৈজ্ঞানিক নাম (AZADIRACHTA INDICA) 



এর ডাল, পাতা, রস, সবই কাজে লাগে। নিম একটি বহু বর্ষজীবি ও চির হরিত বৃক্ষ। বাংলাদেশের সবত্রই জন্মে তবে উত্তরাঞ্চলে বেশি দেখা যায়। প্রাপ্ত বয়স্ক হতে সময় লাগে
১০ বছর। নিম গাছ সাধারণত উষ্ণ আবহাওয়া প্রধান অঞ্চলে ভাল হয়।

নিমের পাতা থেকে আজকাল প্রসাধনীও তৈরি হচ্ছে। 

কৃমিনাশক হিসেবে নিমের রস খুবই কার্যকর। নিমের কাঠ খুবই শক্ত। এ কাঠে কখনো ঘুণ ধরে না। পোকা বাসা বাঁধে না। উইপোকা খেতে পারে না। এ কারণে নিম কাঠের আসবাবপত্রও তৈরি করা হচ্ছে আজকাল। এছাড়া প্রাচীনকাল থেকেই বাদ্যযন্ত্র বানানোর জন্য কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে। এর উৎপাদ ও প্রসারকে উত্সাহ এবং অন্যায়ভাবে নিম গাছ ধ্বংস করাকে নিরুত্সাহিত করছে। নিমের এই গুনাগুনের কথা বিবেচনা করেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‌‘একুশ শতকের বৃক্ষ’ বলে ঘোষনা করেছে।

আসুন জেনে নেই নিমের কিছু ব্যবহারিক উপকারিতা-

 

কফজনিত বুকের ব্যথা:

অনেক সময় বুকে কফ জমে বুক ব্যথা করে। এ জন্য ৩০ ফোটা নিম পাতার রশ সামান্য গরম পানিতে মিশিয়ে দিতে ৩/৪ বার খেলে বুকের ব্যথা কমবে। গর্ভবতী,শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য এ ঔষধটি নিষেধ।

কৃমি: পেটে কৃমি হলে শিশুরা রোগা হয়ে যায়। পেটে বড় হয়। চেহারা ফ্যকাশে হয়ে যায়। এ জন্য ৫০ মিলিগ্রাম পরিমাণ নিম গাছের মূলের ছালের গুড়া দিন ৩ বার সামান্য পানি গরমসহ খেতে হবে।

 উকুন নাশ:

নিমের পাতা বেটে হালকা করে মাথায় লাগান। ঘন্টা খানেক ধরে মাথা ধুয়ে ফেলুন। ২/৩ দিন এভাবে লাগালে উকুন মরে যাবে।

অজীর্ণ: অনেকদিন ধরে পেটে অসুখ। পাতলা পায়খানা হলে ৩০ ফোটা নিম পাতার রস, সিকি কাপ পানির সঙ্গে মিশিয়ে সকাল- বিকাল খাওয়ালে উপকার পাওয়া যাবে।

খোস পাচড়া:

নিম পাতা সিদ্ধ করে পানি দিয়ে গোসল করলে খোসপাচড়া চলে যায়। পাতা বা ফুল বেটে গায়ে কয়েকদিন লাগালে চুলকানি ভালো হয়।

পোকা-মাকড়ের কামড়: পোকা মাকড় কামল দিলে বা হুল ফোটালে নিমের মূলের ছাল বা পাতা বেটে ক্ষত স্থানে লাগালে ব্যথা উপশম হবে।

দাতের রোগ:

নিমের পাতা ও ছালের গুড়া কিংবা নিমের চাল দিয়ে নিয়মিত দাত মাজলে দাত হবে মজবুত, রক্ষা পাবে রোগ।


জন্ডিস:

বাচ্চাদের জন্য ৫-১১ ফোঁটা, বয়স্কদের জন্য ১ চামচ রস একটু মধু মিশিয়ে খালি পেটে খেতে হবে প্রতিদিন সকালে।

ডায়াবেটিস রোগ:

৫টি গোলমরিচ+১০টি নিম পাতা একত্রে সকালে খালি পেটে খেতে হবে।

ওষুধের কৃত্রিমতার ওপরে নির্ভরশীল না হয়ে, মনযোগী হয়ে উঠুন সুস্থ থাকবার প্রাকৃতিক উপায় গুলোর প্রতি। আমাদের চারপাশেই ছড়িয়ে আছে প্রকৃতির অসাধারণ সব উপাদান, যার অল্প একটু ব্যবহারই প্রিতিদিন আমাদের লাগবে সুস্থ-সতেজ ও রোগমুক্তও।

নিজে সুস্থ থাকুন, সুস্থ রাখুন আপন পরিবারকে।

সূত্র: ইন্টারনেট

       ঔষধি গাছ  স্নুহি (মনসা)

ঔষধি গাছ স্নুহি (মনসা)



পুজোতে এই গাছকে ব্যাবহার করা হয় । ভারতবর্ষের বহু জায়গায় এমনকি বাংলাদেশ, ভুটানেও এর সাক্ষাত মেলে। এই গাছ খুব উচু হয়না, ডালপালা খুব বেশি থাকেনা, একেবারে সজা হয়ে উপরে উঠে ।
ওষুধ হিসেবে মনসার মুল, কান্ড, শুকনো আঠা এবং পাতার রস ব্যাবহার করা হয়।

প্রয়োগ এবং ব্যাবহারঃ

১। হুপিং কাশিতে- মনসার কয়েকটা পাতা নিয়ে আগুনে সেঁকে নিয়ে হাতে চেপে রস করুন। এবার এই রসে একটু চিনি বা লবন মিশিয়ে দু-তিনদিন খান।
২। আকজিমা রোগে- মনসার কাণ্ড নিয়ে প্রথমে ক্বাথ তৈরি করুন। এই ক্বাথ সরষের তেলে পাক করে ঐ জায়গায় লাগান । তেলের চারগুন নেবেন মনসার কাণ্ড, আর তার চার গুন নেবেন পানি। একভাগ থাকতে নামিয়ে নেবেন।
৩। মাথার বিক্ষিপ্ত টাকে- মনসার আঠা দিয়ে তৈরি তেল মাথার লাগালে বিক্ষিপ্ত টাক সেরে যাবে।
৪। প্রমেহ রোগে- ৩ থেকে ৪ ফোটা মনসার ক্ষীর বাতাসার মাঝে নিয়ে ১৫-২০ দিন খান।
৫। মেয়েদের বেতো চুলে- ২০ থেকে ২৫ গ্রাম নারকেল তেল একটা লোহার হাতায় নিয়ে আগুনে চাপান। গরম হলে তার সঙ্গে ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম মনসার আঠা একটু একটু করে মিশিয়ে নাড়তে থাকুন যতক্ষন না চটচটে হয়। অতঃপর নামিয়ে শিশিতে রেখে দিন ।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ

মনসার আঠা দিয়ে তৈরি তেল একদিন অন্তর অন্তর লাগান ।
যেখানে টাক হয়েছে সেখানেই কেবল লাগাবেন।