লটকন
জগৎ/রাজ্য: | Plantae |
(unranked): | Angiosperms |
(unranked): | Eudicots |
(unranked): | Rosids |
বর্গ: | Malpighiales |
পরিবার: | Phyllanthaceae |
গণ: | Baccaurea |
প্রজাতি: | B. motleyana |
"মন খুলে হাসলে- পৃথিবীর প্রতিটি মানুষকেই অসম্ভব সুন্দর দেখায়..."
জগৎ/রাজ্য: | Plantae |
(unranked): | Angiosperms |
(unranked): | Eudicots |
(unranked): | Rosids |
বর্গ: | Malpighiales |
পরিবার: | Phyllanthaceae |
গণ: | Baccaurea |
প্রজাতি: | B. motleyana |
শতকরা ৫ ভাগের প্রয়োজনীয় কিছু হরমোনের ঘাটতি রয়েছে যা চিকিৎসাযোগ্য, শতকরা ১০ ভাগের শরীরে প্রয়োজনীয় শুক্রাণুর অভাব রয়েছে (আলগেস পাকিস), শতকরা ২/৩ ভাগের শরীরে কোন শুক্রাণু নেই (অ্যাজোসপারসিযঅ)। এছাড়া শতকরা যে ২০ ভাগের কিছু কিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে তাদের মধ্যে শতকরা অন্ততঃ ৫ ভাগের যৌন সমস্যা (ইম্পোর্টেন্স) রয়েছে। এ তথ্য আন্তর্জাতিক গবেষণা তথ্যের সঙ্গে সঙ্গাতিপূর্ণ। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে আমাদের দেশের তরুণরা অধিক সুঠাম ও সক্ষম। তবুও তরুণদের বিয়ে ভীতি কেন। এসব তরুণদের কাছে চেম্বারে আমি পাঁচটি প্রশ্ন করে থাকি। কেমন করে তারা বুঝতে পেয়েছে তারা ফুরিয়ে গেছে বা শারীরিক যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে।
তাদের এই ধারণার পিছনে কোন বাস্তব অভিজ্ঞতা রয়েছে কি? শারীরিক শক্তি ফিরিয়ে কোন ওষুধ সেবন করেছে কি, ইত্যাদি ইত্যাদি। তরুণ-যুবকদের বিচিত্র সব জবাব, অভিজ্ঞতা, এসব তুলে ধরার কোন ইচ্ছা আমার নেই। এছাড়া রোগীর গোপন তথ্য প্রকাশ মেডিক্যাল এথিকস অবমাননার পর্যায়ে পড়ে। তাই এসব নিয়ে দীর্ঘ বর্ণনার কোন ইচ্ছে নেই। তবে এ কথাটি সত্য, তরুণদের বিয়ে ভীতির কারণের পিছনে যেমন অজ্ঞতা, মানসিক সমস্যা এবং তরুণদের একটি বড় অংশের বাস্তব অভিজ্ঞতা নেতিবাচক হওয়ায় (যার শতকরা ৯৯ ভাগ বিয়ের পর ঠিক হয়ে যায়) বিভ্রান্তি বাড়ছে। পাশাপাশি একশ্রেণীর তথাকথিত যৌন সমস্যা চিকিৎসক নামধারীদের অজ্ঞতা এবং ভুল চিকিৎসার কারণে তরুণদের যৌন ভীতি বেড়ে যাচ্ছে। বিয়ে করেনি এমনসব তরুণদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেক্স স্টিমুল্যান্ট ট্যাবলেট দেয়া হয়। ফলে এসব তরুণরা মনে করে তাদের নিশ্চয়ই যৌন সমস্যা রয়েছে। এতে তরুণদের সাময়িক শারীরিক ফিটনেস বাড়লেও দীর্ঘমেয়াদি মানসিক সমস্যার সৃষ্টি করে। এমনকি একাধিক তরুণ অকপটে শিকার করেছেন ডাক্তারের দেয়া যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট সেবন করে অপকর্মে লিপ্ত হয়েছেন। এসব বিয়ে ভীতি বা যৌন ভীতিতে আক্রান্তদের বেশির ভাগের প্রায় একই মন্তব্য যতদিন ট্যাবলেট সেবন করেন ততদিন ভালো থাকেন। ওষুধ সেবন শেষ তো সবশেষ। অথচ এসব তরুণের শতকরা ৮০ থেকে ৯০ ভাগই শারীরিকভাবে সুস্থ এবং কেবলমাত্র যথাযথ কাউন্সিলিং করতে পারলে কোন প্রকার যৌন উত্তেজক ওষুধ ছাড়াই তরুণদের বিভ্রান্তি দূর করা সম্ভব।
এ প্রসঙ্গে আমি আগেও বলেছি শুধু
বাংলাদেশের তরুণদেরই বিয়ে ভীতি এবং যৌন ভীতি বেশি। এ ক্ষেত্রে একটি উদাহরণ
দেবো। আমি সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে চর্ম ও যৌন রোগের ওপর
পোস্ট গ্রাজুয়েশন করার সময় সিঙ্গাপুর ডিএসসি ক্লিনিকে কিছুদিন অবজারভার
হিসেবে প্রশিক্ষণ নেই। প্রচুর বাংলাদেশী তরুণ আসতো এ ক্লিনিকে। সিঙ্গাপুর
ডিএসসি ক্লিনিক বাংলাদেশের যেকোন প্রাইভেট হাসপাতালের চেয়ে বড় কেবলমাত্র
যৌন রোগীদের চিকিৎসা করা হয় এই ক্লিনিকে। আমি দেখেছি সিঙ্গাপুরে চাকরিরত
বাংলাদেশী তরুণরাও নানা ভুল ধারণার কারণে নানা ধরনের যৌন রোগে আক্রান্ত
হচ্ছে। এসব তরুণের অনেকেরই যৌন জীবন নিয়েও রয়েছে নানা বিভ্রান্তি। কয়েকমাস
আগে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়েছিলাম।
হাসপাতালের অন্যতম চিকিৎসক ডাঃ শক্তির সঙ্গে আমার পূর্ব নির্ধারিত মিটিং
ছিল। তিনি একাধিকবার আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। যা হোক, ডাঃ শক্তি যৌন
সমস্যার রোগীদের চিকিৎসা করেন। বাংলাদেশ থেকে বেশকিছু রোগী যায় ব্যাংকক
হাসপাতালে। ডাঃ শক্তি আমাকে প্রায় একই রকম তথ্য দিলেন। বাংলাদেশী রোগীদের
শারীরিক বা যৌন সমস্যার চেয়ে মানসিক সমস্যাই বেশি।
থাক এসব কথা। তরুণদের বিয়ে ভীতি আসলে
মোটেও শারীরিক সমস্যার কারণে হয় না। যৌবনে অধিকাংশ পুরুষই কিছু
অনাকাঙ্খিত অভ্যাসের শিকার হয়। এর জন্য শরীরের যৌন শক্তি শেষ হয়ে যাবে এটা
নিতান্তই ভুল ধারণা। শরীরে যৌন শক্তি নামে আলাদা কোন শক্তি নেই। শারীরিক
সুস্থতা, সুঠাম দেহ, মানসিক প্রশান্তি থাকলে এবং পরস্পরের সুন্দর সম্পর্কও
সমঝোতা থাকলে প্রাত্যহিক জীবনের অন্যসব কাজের মত দাম্পত্য জীবনও সুখের
হতে পারে। তাই বিয়ে ভীতির কারণে তরুণদের যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট সেবন করা
উচিত নয়। এছাড়া এজন্য অযথা ডাক্তারের চেম্বারে যাবারও কোন দরকার নেই। তবে
বিয়ের পর যদি কোন শারীরিক সমস্যা থাকে এবং এ কারণে স্বামী-স্ত্রীর
সম্পর্কের অবনতি হওয়ার আশংকা তৈরি হয় তখন যেকোন সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞ
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন। যদি ছোটখাটো শারীরিক সমস্যা থেকে থাকে তা
আবশ্যই চিকিৎসায় ভালো হয়। অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসা-ওষুধ ছাড়াই কাউন্সিলিং
তরুণদের বিয়ে ভীতি দূর এবং বিবাহ পরবর্তী জীবন সুন্দর হতে পারে।
নিমের পাতা থেকে আজকাল প্রসাধনীও
তৈরি হচ্ছে।
কৃমিনাশক হিসেবে নিমের রস খুবই
কার্যকর। নিমের কাঠ খুবই শক্ত। এ কাঠে কখনো ঘুণ ধরে না। পোকা বাসা বাঁধে না। উইপোকা
খেতে পারে না। এ কারণে নিম কাঠের আসবাবপত্রও তৈরি করা হচ্ছে আজকাল। এছাড়া প্রাচীনকাল
থেকেই বাদ্যযন্ত্র বানানোর জন্য কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে। এর উৎপাদ ও প্রসারকে উত্সাহ
এবং অন্যায়ভাবে নিম গাছ ধ্বংস করাকে নিরুত্সাহিত করছে। নিমের এই গুনাগুনের কথা বিবেচনা
করেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘একুশ শতকের বৃক্ষ’ বলে ঘোষনা করেছে।
আসুন জেনে নেই নিমের কিছু ব্যবহারিক
উপকারিতা-
কফজনিত বুকের ব্যথা:
অনেক সময় বুকে কফ জমে বুক ব্যথা
করে। এ জন্য ৩০ ফোটা নিম পাতার রশ সামান্য গরম পানিতে মিশিয়ে দিতে ৩/৪ বার খেলে বুকের
ব্যথা কমবে। গর্ভবতী,শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য এ ঔষধটি নিষেধ।
কৃমি: পেটে কৃমি হলে শিশুরা রোগা
হয়ে যায়। পেটে বড় হয়। চেহারা ফ্যকাশে হয়ে যায়। এ জন্য ৫০ মিলিগ্রাম পরিমাণ নিম গাছের
মূলের ছালের গুড়া দিন ৩ বার সামান্য পানি গরমসহ খেতে হবে।
উকুন নাশ:
নিমের পাতা বেটে হালকা করে মাথায়
লাগান। ঘন্টা খানেক ধরে মাথা ধুয়ে ফেলুন। ২/৩ দিন এভাবে লাগালে উকুন মরে যাবে।
অজীর্ণ: অনেকদিন ধরে পেটে অসুখ।
পাতলা পায়খানা হলে ৩০ ফোটা নিম পাতার রস, সিকি কাপ পানির সঙ্গে মিশিয়ে সকাল- বিকাল
খাওয়ালে উপকার পাওয়া যাবে।
খোস পাচড়া:
নিম পাতা সিদ্ধ করে পানি দিয়ে
গোসল করলে খোসপাচড়া চলে যায়। পাতা বা ফুল বেটে গায়ে কয়েকদিন লাগালে চুলকানি ভালো
হয়।
পোকা-মাকড়ের কামড়: পোকা মাকড়
কামল দিলে বা হুল ফোটালে নিমের মূলের ছাল বা পাতা বেটে ক্ষত স্থানে লাগালে ব্যথা উপশম
হবে।
দাতের রোগ:
নিমের পাতা ও ছালের গুড়া কিংবা
নিমের চাল দিয়ে নিয়মিত দাত মাজলে দাত হবে মজবুত, রক্ষা পাবে রোগ।
জন্ডিস:
বাচ্চাদের জন্য ৫-১১ ফোঁটা, বয়স্কদের
জন্য ১ চামচ রস একটু মধু মিশিয়ে খালি পেটে খেতে হবে প্রতিদিন সকালে।
ডায়াবেটিস রোগ:
৫টি গোলমরিচ+১০টি নিম পাতা একত্রে
সকালে খালি পেটে খেতে হবে।
ওষুধের কৃত্রিমতার ওপরে নির্ভরশীল
না হয়ে, মনযোগী হয়ে উঠুন সুস্থ থাকবার প্রাকৃতিক উপায় গুলোর প্রতি। আমাদের চারপাশেই
ছড়িয়ে আছে প্রকৃতির অসাধারণ সব উপাদান, যার অল্প একটু ব্যবহারই প্রিতিদিন আমাদের
লাগবে সুস্থ-সতেজ ও রোগমুক্তও।
নিজে সুস্থ থাকুন, সুস্থ রাখুন
আপন পরিবারকে।
সূত্র: ইন্টারনেট
পুজোতে
এই গাছকে ব্যাবহার করা হয় । ভারতবর্ষের বহু জায়গায় এমনকি বাংলাদেশ,
ভুটানেও এর সাক্ষাত মেলে। এই গাছ খুব উচু হয়না, ডালপালা খুব বেশি থাকেনা,
একেবারে সজা হয়ে উপরে উঠে ।
ওষুধ হিসেবে মনসার মুল, কান্ড, শুকনো আঠা এবং পাতার রস ব্যাবহার করা হয়। প্রয়োগ এবং ব্যাবহারঃ ১। হুপিং কাশিতে- মনসার কয়েকটা পাতা নিয়ে আগুনে সেঁকে নিয়ে হাতে চেপে রস করুন। এবার এই রসে একটু চিনি বা লবন মিশিয়ে দু-তিনদিন খান। ২।
আকজিমা রোগে- মনসার কাণ্ড নিয়ে প্রথমে ক্বাথ তৈরি করুন। এই ক্বাথ সরষের
তেলে পাক করে ঐ জায়গায় লাগান । তেলের চারগুন নেবেন মনসার কাণ্ড, আর তার চার
গুন নেবেন পানি। একভাগ থাকতে নামিয়ে নেবেন। ৩। মাথার বিক্ষিপ্ত টাকে- মনসার আঠা দিয়ে তৈরি তেল মাথার লাগালে বিক্ষিপ্ত টাক সেরে যাবে। ৪। প্রমেহ রোগে- ৩ থেকে ৪ ফোটা মনসার ক্ষীর বাতাসার মাঝে নিয়ে ১৫-২০ দিন খান। ৫।
মেয়েদের বেতো চুলে- ২০ থেকে ২৫ গ্রাম নারকেল তেল একটা লোহার হাতায় নিয়ে
আগুনে চাপান। গরম হলে তার সঙ্গে ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম মনসার আঠা একটু একটু করে
মিশিয়ে নাড়তে থাকুন যতক্ষন না চটচটে হয়। অতঃপর নামিয়ে শিশিতে রেখে দিন । বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ মনসার আঠা দিয়ে তৈরি তেল একদিন অন্তর অন্তর লাগান । যেখানে টাক হয়েছে সেখানেই কেবল লাগাবেন। |